এএমআইই (
Associate
Membership of the
Institution of
Engineers) হলো ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) পরিচালিত একটি পরীক্ষার নাম, যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, আইইবি-র
এসোসিয়েট মেম্বারশিপ দেওয়া হয় এবং একই সাথে
ইঞ্জিনিয়ারিং এ গ্রাজুয়েশন কমপ্লিটের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে আপনি নিজেকে একজন "
প্রকৌশলী" হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পেয়ে থাকেন ।
এএমআইই(সেকশন-এ এবং বি) পাশকে "বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর সমমান" হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং যোগ্যতার সকল সরকারী চাকুরীসমূহে এএমআইই পাশ করা প্রকৌশলী আবেদনের সুযোগ পেয়ে থাকেন । ৪টি বিষয়ে এএমআইই পড়ার সুযোগ রয়েছে । Electrical and Electronic Engineering (EEE), সিভিল, মেকানিক্যাল এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ।
আপনি যে বিষয়েই পড়াশুনা করেন না কেন, আপনাকে সেকশন-এ এবং বি-তে সবমিলিয়ে 22 টি কোর্সে সর্বমোট 2200 মার্কসের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে । এএমআইই পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-র ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা কিংবা চট্টগ্রাম শাখার যেকোনো একটি শাখায় ভর্তি হতে হবে । ভর্তির একবছর পর সর্বপ্রথম পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবেন । প্রথমবার পরীক্ষা দেওয়ার পর, প্রতি ৬ মাস পরপরই পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবেন । এএমআইই পরীক্ষাসমূহ বাংলাদেশের ৪টি সরকারী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে
(BUET/RUET/CUET/KUET) এপ্রিল এবং অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে ।
কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহন বাদ না গেলে এবং কোন পরীক্ষায় ফেল না করলে 4 বছরেই এএমআইই পাশ করে "প্রকৌশলী" হওয়া সম্ভব । পাশ করার পর, বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যাবে বিভিন্ন "প্রফেশনাল ক্যাডারে"। এছাড়া মোবাইল কোম্পানিসমূহ (যেমন বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, সিটিসেল ইত্যাদি), রিয়েল এস্টেট কোম্পানিসমূহ, স্কয়ার, এসিআই, বেক্সিমকো, পপুলার, ইবনে সিনা, ইনসেপটা, একমি প্রভৃতি ওষুধ কোম্পানিসমূহে, ডেসা, ডেসকো, সিঙ্গার, র্যাঙ্কস, তোসিবা, হুন্দাই, কনিকা, কনকা, সিমেন্স, স্যামসাং, নোকিয়া, এরিকসন, হুয়াই, সেবা টেলিকম, যুবক ফোন, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল প্রতিষ্ঠানসমূহে, পাওয়ার গ্রিড, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি), বিভিন্ন পাওয়ারপ্ল্যান্ট সমূহে, বাংলাদেশ বিমান, আকিজ লিমিটেড সহ সকল ধরনের সরকারী এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর জন্য আবেদন করা যাবে। এছাড়া মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (MIST) এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে
এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ রয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে "ইনফরমেশন টেকনোলজি"-তে মাস্টার্স করার সুযোগ রয়েছে। University of Dhaka-র Renewable Energy Technology (RET) তে মাস্টার্স এবং প্রফেশনাল মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। একই সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভিনিং এমবিএ সহ সকল সরকারী বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ইন বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন একজন এএমআইই পাশ করা প্রকৌশলী ।
সম্প্রতি অক্টোবর-২০১৩ টার্মে MIST-তে Engr. Emran Hossain (AMIE, April-2012, Sec-B GPA-3.50) Electrical, Electronics and Communication Engineering (EECE) বিষয়ে M.Sc Engg প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ পান। এএমআইই পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহনের জন্য কোন ক্লাস সুবিধা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) প্রদান করে না বিধায় এএমআইই পরীক্ষায় পাশ করা তুলনামূলকভাবে কঠিন হয়ে দাড়ায় শিক্ষার্থীদের জন্য।
এএমআইই পরীক্ষায় ভাল করার জন্য প্রয়োজন ভাল প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ, আর ভাল প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, ষ্ট্যাণ্ডার্ড প্রতিষ্ঠান, যার প্রচণ্ড অভাব ছিল এএমআইই শিক্ষার্থীদের জন্য । বুয়েটের শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এএমআইই পরীক্ষার,
প্রস্তুতি সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষানগরী রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠিত হয়
"Royal Engineering Academy" এবং একই সাথে একটি পরিপূর্ণ "
ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট"- হিসেবে গড়ে তোলার বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়ে
2016 সালের ১৬-ই সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠিত হয়
রয়েল ইনস্টিটিউট ওফ ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (RIEEE) যার প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য হলো,
"যথোপযুক্ত জ্ঞানলাভ এবং দক্ষতা অর্জনের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে মেধাবীদেরকে প্রকৌশলী হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া" ।
ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে
" দক্ষ প্রকৌশলী" হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো,
শিক্ষার্থীদের ভিডিও টিউটোরিয়াল-এর মাধ্যমে বিশ্বের সেরা সেরা প্রফেসরদের লেকচার ফলো করে পড়াশুনার সুযোগ করে দেওয়া, বাংলাতে ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি, বিভিন্ন সরকারী বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা বিভিন্ন ট্রেনিং প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ট্রেনিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহনের ব্যবস্থা করা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা। আশা করছি, বাংলাদেশের এএমআইই শিক্ষার্থীদের জন্য "
রয়েল ইনস্টিটিউট ওফ ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (RIEEE)"-হয়ে উঠবে প্রানের মেলা, জ্ঞানের মেলা, দক্ষতার মেলা, মেধাবীদের মেলা । বাংলাদেশের মেধাবী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদেরকে
রয়েল ইনস্টিটিউট ওফ ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (RIEEE)-তে বুয়েটে/ রুয়েটে অনুষ্ঠিতব্য এএমআইই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করার জন্য আহ্বান জানাই ।
ডুয়েটে সুযোগ না পাওয়া মেধাবী ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের "প্রকৌশলী" হওয়ার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য নিয়েই রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমী সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে । শুধুমাত্র এএমআইই পাশ নয়, জ্ঞানে এবং দক্ষতায় যেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা প্রকৌশলীদের সমকক্ষ হতে পারে একজন এএমআইই পাশ করা প্রকৌশলী, সেদিকে নজর রেখে রয়েল ইনস্টিটিউট ওফ ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (RIEEE)-র শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিনিয়ত আরও আধুনিক, আরও যুগোপযোগী করতে সচেষ্ট আমরা।
রয়েল ইনস্টিটিউট ওফ ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (RIEEE) 4 বছরে আপনাকে প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বুয়েটে/ রুয়েটে অনুষ্ঠিতব্য এএমআইই পরীক্ষার প্রতিটি কোর্সের উপর পূর্ণকালীন (সপ্তাহে 6 দিন) ক্লাস সুবিধা প্রদান করেছে শিক্ষানগরী রাজশাহীতে !!! রয়েল ইনস্টিটিউট ওফ ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (RIEEE) - তে যোগদানের জন্য আমরা সেই সকল মেধাবীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি, যারা পরিশ্রমী, দৃঢ়চেতা, দৃঢ়প্রত্যয়ী, স্বপ্নপূরণের পথে যারা অবিচল, সকল বাধা ডিঙিয়ে যারা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে উন্মুখ ।
সকলের প্রতি শুভকামনা রইলো ।