Frequently Asked Questionns (FAQs)
What is AMIE ?
এ,এম,আই,ই আসলে একটি পরীক্ষার নাম, এটি কোন বিশ্ববিদ্যালয় নয়। এই পরীক্ষা পরিচালনা করে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ যা সংক্ষেপে আইইবি নামে পরিচিত। বুয়েট এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরীক্ষা গ্রহণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং ফলাফল তৈরির সার্বিক তত্ত্বাবধান করে থাকে মাত্র। এ,এম,আই,ই নামক পরীক্ষায় পাশ করলে, গ্রাজুয়েশন পাশের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, যা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর সমমান। আর এ,এম,আইই যেহেতু পরীক্ষা, তাই, এটির কোন ক্যাম্পাস নেই।
এএমআইই (Associate Membership of the Institution of Engineers) হলো ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) পরিচালিত একটি পরীক্ষার নাম, যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, আইইবি-র এসোসিয়েট মেম্বারশিপ দেওয়া হয় এবং একই সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং এ গ্রাজুয়েশন কমপ্লিটের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে আপনি নিজেকে একজন "প্রকৌশলী" হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পেয়ে থাকেন । এএমআইই(সেকশন-এ এবং বি) পাশকে "বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর সমমান" হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং যোগ্যতার সকল সরকারী চাকুরীসমূহে এএমআইই পাশ করা প্রকৌশলী আবেদনের সুযোগ পেয়ে থাকেন ।
এ,এম,আই,ই কি ডিগ্রীর নাম?
না, এটি মূলত এসোসিয়েট মেম্বারশিপ প্রদানের একটি পরীক্ষা যা গ্রহণ করে থাকে, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ। কমনওয়েলথভুক্ত অনেক দেশেই এই ধরণের পরীক্ষার প্রচলন রয়েছে এবং অধিকাংশ দেশেই সেটি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বা বি.টেক বা ব্যাচেলর ডিগ্রীর সমমান হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত।
এ,এম,আই,ই পাশের পর "বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার" হিসেবে কোথায় কোথায় চাকুরীর আবেদন করা যাবে?
পাশ করার পর, বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যাবে বিভিন্ন "প্রফেশনাল ক্যাডারে"। এছাড়া মোবাইল কোম্পানিসমূহ (যেমন বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, সিটিসেল ইত্যাদি), Power Grid Company Bangladesh (PGCB), EGCB, WZPDC, Power Development Board (PDB), Water Development Board (WDB), Roads & Highways Department (RHD), LGED, রিয়েল এস্টেট কোম্পানিসমূহ, স্কয়ার, এসিআই, বেক্সিমকো, পপুলার, ইবনে সিনা, ইনসেপটা, একমি প্রভৃতি ওষুধ কোম্পানিসমূহে, ডেসা, ডেসকো, সিঙ্গার, র্যাঙ্কস, তোসিবা, হুন্দাই, কনিকা, কনকা, সিমেন্স, স্যামসাং, নোকিয়া, এরিকসন, হুয়াই, সেবা টেলিকম, যুবক ফোন, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল প্রতিষ্ঠানসমূহে, পাওয়ার গ্রিড, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি), বিভিন্ন পাওয়ারপ্ল্যান্ট সমূহে, বাংলাদেশ বিমান, আকিজ লিমিটেড সহ সকল ধরনের সরকারী এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর জন্য আবেদন করা যাবে।
এটি কি বুয়েট কর্তৃক পরিচালিত?
না, এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় সম্পূর্ণভাবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ দ্বারা। পরীক্ষা কমিটিতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার ডঃ দীপক কান্তি দাশ, বুয়েটের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং অধ্যাপক। সম্মানী উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার ডঃ মোঃ আবুল কাশেম মিয়াঁ, বুয়েটের বর্তমান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং অধ্যাপক।
প্রশ্ন সেট করে থাকেন কি বুয়েটের শিক্ষকরা?
প্রশ্ন সেটার হিসেবে বিভিন্ন সরকারী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট, রুয়েট, চুয়েট এবং কুয়েট - কিছু ক্ষেত্রে এম আইএসটি -র শিক্ষকরাও প্রশ্ন সেটার হিসেবে কাজ করেন) শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করে থাকেন। শুধুমাত্র বুয়েটের শিক্ষকরাই প্রশ্ন সেট করেন না, তবে, সংখ্যায় বুয়েটের শিক্ষকরাই সবচেয়ে বেশি থাকেন তুলনামূলক ভাবে।
প্রশ্ন কি বিগত বছরের প্রশ্নাবলী থেকে কমন পড়ে?
হ্যাঁ, বিগত বছরের প্রশ্নাবলী থেকে প্রশ্ন কমন পড়ে। কিছু কোর্সে ৯০-১০০ মার্কস এর মতো কমন পড়ে বিগত বছরের প্রশ্নাবলী থেকে। কিছু কোর্সে ১৩০ -১৩৫ মার্কস কমন পড়ে। তবে, সাধারণভাবে বলতে গেলে, সর্বনিম্ন ৪০ মার্কস থেকে সর্বচ্চ ১৩৫ মার্কস কমন পাবেন যেকোনো কোর্সে বিগত বছরের প্রশ্নাবলী থেকে।
এ,এম,আই,ই কি সিলেবাস আছে?
হ্যাঁ, সিলেবাস আছে।
বিগত বছরের প্রশ্নাবলী কোথায় পাওয়া যায়?
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় যেমন
[1] www.amiebde.blogspot.com
[2] www.royalengineeringacademy.page.tl
[3] www.amiequestionpapers.page.tl
আপনি আইইবি লাইব্রেরীতে বিগত বছরের প্রশ্নাবলী পাবেন।
সিলেবাস কোথায় পাবেন?
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় যেমন
[1] www.amiebde.blogspot.com
[2] www.royalengineeringacademy.page.tl
[3] www.amiequestionpapers.page.tl
আপনি আইইবি লাইব্রেরীতে সিলেবাস পাবেন।
এ,এম,আই,ই পাশের সার্টিফিকেট-এ কি B.Sc. Engineering শব্দ উল্লেখ থাকবে?
না । Graduation in Electrical Engineering এই ফরমেটে উল্লেখ থাকবে। দুটো ভিন্ন শব্দ হলেও, দুটোর অর্থ একই। মূলত ব্যাচেলর ডিগ্রীধারী ইঞ্জিনিয়ার কে - গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার বলা হয়। এ,এম,আই,ই পাশ করলে, আপনিও একজন গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার । ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার থেকে গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে, আপনাকে অর্জন করতে হয়, B.Tech অথবা B.Sc. Engineering অথবা পাশ করতে হয়, এ,এম,আই,ই (সেকশন এ ও বি)।
এ,এম,আই,ই তে ভর্তির পর, কত বছর পর্যন্ত পরীক্ষা দেওয়া যায়?
১৫ বছর। ভর্তির পর, সর্বচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত আপনি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। ২০১৬ সালের এপ্রিল টার্মে যাদের ১৫ বছর পূর্ণ হয়েছিল, তাদেরকে বিশেষ বিবেচনায় অক্টোবর ২০১৬ টার্মে এবং এপ্রিল ২০১৭ টার্মে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ প্রদান করেছে আইইবি। তবে, এমন সুযোগ সাধারণত কখনোই দেওয়া হয় না।
বাংলাদেশে এ,এম,আই,ই তে পাশের হার কেমন? প্রতি টার্মে কত জন পাশ করে?
এ,এম,আই,ই পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কি কোন গাইডবই সহজলভ্য?
হ্যাঁ, সহজলভ্য। আপনি, ইইই,সিভিল, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সেকশন এ এবং বি এর সকল কোর্সের গাইডবই সংগ্রহ করতে পারবেন রাজশাহীর রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমী থেকে। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন খুব সহজেই। টাকা পরিশোধ করতে পারবেন ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচবাংলা ব্যাংক, বিকাশের মাধ্যমে।
বইগুলোর কোন নমুনা কপি বা অধ্যায়ের পিডিএফ ফাইল পাওয়া যাবে? বইয়ের কোয়ালিটি নিশ্চিত হতে, নমুনা অধ্যায় দেখা যাবে?
নিচের লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেনঃ
https://web.facebook.com/groups/royalengineeringacademy/files/
AMIE পড়তে খরচ কেমন লাগবে?
Admission Cost: 3200 Tk
Annual Subscription: 2400 Tk (600 tk per year)
Examination Fee : 17600 Tk (800 Tk per Subject)
Marksheet Fee : 1200 Tk (200 tk per Term)
ID Card Fee: 100 Tk
Total Cost: 24,500 Taka
AMIE সম্পন্ন করতে কত সময় লাগবে?
নুন্যতম সাড়ে ৩ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১৫ বছর লাগবে এ,এম,আই,ই সেকশন এ এবং বি সম্পন্ন করতে ।
বাংলাদেশের এ,এম,আই, ই শিক্ষার্থীরা কি দেশের বাইরে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায়?
না, বাংলাদেশের এ,এম,আই, ই শিক্ষার্থীরা কি দেশের বাইরে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায় না। শুধুমাত্র বুয়েট, রুয়েট, চুয়েট এবং কুয়েটে এ,এম,আই,ই পরীক্ষা বছরে দুইবার দেওয়া যায়। এপ্রিল টার্ম এবং অক্টোবর টার্ম। দুটি পরীক্ষা যথাক্রমে এপ্রিল এর শেষ সপ্তাহে এবং অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
ভারতের এ,এম,আই, ই শিক্ষার্থীরা কি দেশের বাইরে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায়?
হ্যাঁ, ভারতের এ,এম,আই, ই শিক্ষার্থীরা কি দেশের বাইরে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায়। দেশের (ভারতের) ভেতরে ৭০ টি সেন্টার এবং ভারতের বাইরে কাতার, কাঠমুণ্ডু, আবু ধাবি, বাহরাইন এবং কুয়েতে এ,এম,আই,ই (ইন্ডিয়া) পরীক্ষা বছরে দুইবার দেওয়া যায়। উইন্টার টার্ম এবং সামার টার্ম।
বাংলাদেশ থেকে কি ভারতের এ,এম,আই,ই তে ভর্তি হওয়া যায়?
হ্যাঁ, আপনি বাংলাদেশ থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে, ভারতের এ,এম,আই,ই তে ভর্তি হতে পারবেন।
ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য জানতে যোগাযোগ করুনঃ
(033) 40106307
(033) 22238311
(033) 22238314
(033) 22238315
(033) 22238316
শিক্ষা, পরীক্ষা এবং স্বীকৃতি সম্পর্কিত বিষয়সমূহের জন্য উপরের পাঁচটি নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।
চাইলে, ইমেইলেও যোগাযোগ করতে পারেনঃ exams@ieindia.org
চাইলে, সরাসরি চলে যেতে পারেন, ৮ গোখালি রোড, কলকাতা , ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স, ইন্ডিয়ার হেডকোয়ার্টারে ।
ভারতের এ,এম,আই,ই তে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ৭০ টি সেন্টারে পরীক্ষা দিতে পারে। উইন্টার টার্মের পরীক্ষা ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
ভারতের এ,এম,আই,ই পরীক্ষা পাশের সময়কাল সর্বচ্চ ১২ বছর। সেকশন এ - ৬ বছর, সেকশন বি - ৬ বছর। ৬৪৯ টি কলেজে ল্যাব এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ রয়েছে। সেজন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হয় নির্দিষ্ট সময়ে।
নতুন শিক্ষার্থীদের কীভাবে পড়াশুনা করা উচিত এ,এম,আই,ই তে?
পৃথিবীতে আপনার এ,এম,আই,ই পড়াশুনায় সাহায্য করার মতো কেউ নেই ?
আপনাকে একাই পড়তে হবে? একাই ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সসমূহের অজানা বিষয় বুঝতে হবে? পড়তে হবে? মুখস্থ করতে হবে? পরীক্ষা দিতে হবে?
কমন পেতে চান সব প্রশ্ন ? ?
১০০% প্রশ্ন কমন (১৪০ মার্কস কমন) পেতে হলে, যেকোনো সাবজেক্টেই নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুনঃ
[১] প্রশ্নপত্র সংগ্রহ ধাপঃ প্রশ্নপত্র সংগ্রহ ধাপবিগত ২০০১ সাল থেকে ২০১৬ সালের এপ্রিল টার্ম পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ,এম,আই,ই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করুণ।
[২] সিলেবাস সংগ্রহ ধাপঃ সিলেবাস সংগ্রহ করুণ।
[৩] টেক্সটবই ও রেফারেন্স বই সংগ্রহ ধাপঃ নীলক্ষেত বা অন্য যেকোনো বইয়ের বাজার থেকে সংগ্রহ করে নিন, একটা টেক্সটবই এবং একটা রেফারেন্স বই।
[৪] টেক্সটবইতে প্রশ্নলিখন ধাপঃ বিগত বছরের প্রশ্নসমূহের উত্তর বইয়ের কোথাও না কোথাও অবশ্যই আছে, সেটা খুঁজে বের করুণ। বেশ কষ্টসাধ্য কাজ, ৩-৫ দিন সময় লাগবে, ৫০০ পৃষ্ঠার বই হলে, ৩৫০০ পৃষ্ঠা আপনাকে উল্টাতে হতে পারে (মানে হল, একই পৃষ্ঠা গড়ে সাতবার উল্টে পাল্টে দেখতে হতে পারে)। হেডলাইন ধরে ধরে খুঁজুন। যে প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর, টেক্সটবই এঁর যেখানে পাচ্ছেন, সেখানে সাদা জায়গায়, প্রশ্নটি "জেল লালকলম" দিয়ে "সুন্দর হস্তাক্ষরে" লিখুন !!!
[৫] অধ্যায়ের তালিকা প্রস্তুতকরণ ধাপঃ এভাবে ৭০-৯০% প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেলে, দাগানোর প্রক্রিয়ার সমাপ্তি টানুন এবং কি কি অধ্যায়ে প্রশ্নসমূহের উত্তর খুঁজে পেলেন, তালিকা করুণ।
এই ধাপে আসার পর, "সম্পূর্ণ কোর্সসম্পর্কে এবং প্রশ্নের প্যাটার্ন সম্পর্কে" আপনার খুব দারুণ জানাশোনা তৈরি হবে, যা অধিকাংশ এ,এম,আই,ই শিক্ষার্থীর হয় না।
[৬] রিডিং পড়া এবং বিষয়বস্তু বোঝার ধাপঃ এবার ৫নং ধাপে তৈরি তালিকার প্রথম অধ্যায়ের বিষয়বস্তু একবার / দুইবার রিডিং পড়ে ফেলুন, বিষয়বস্তু বোঝার চেষ্টা করুণ, প্রয়োজনে, শিক্ষক, বন্ধু কিংবা বড়ভাইয়ের সহায়তা নিন।
[৭] স্টাডিনোট প্রস্তুতকরণ ধাপঃ এবার নোট করে ফেলুন, হাতে লিখে অথবা কম্পিউটারে, প্রশ্নভিত্তিক এবং প্রশ্নের উত্তরভিত্তিক। আলসেমি করবেন না, এই ধাপে। কয়েকটি প্রশ্নের নোট তৈরির পরই, আলসেমি চলে আসবে, পাত্তা না দিয়ে চালিয়ে যান।
[৮] মুখস্থ ধাপঃ এবার নিশ্চিন্তে মুখস্থ করুণ, আর মনের মধ্যে চিন্তা করুণ, বুয়েটের পরীক্ষার খাতায় এই প্রশ্নের উত্তর আপনি কীভাবে সাজিয়ে লিখবেন। "তোতাপাখির মতো মুখস্থ"- করতে পারলে, খুবই ভালো, এ প্লাস সুনিশ্চিত।
[৯] রিভিশন ধাপঃ অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলেও, আপনি এখন বড় হয়ে গেছেন, তাই, রিভিশনের আশা ছেড়ে দিন। রিভিশন দিতে হবে, এটা মাথায় থাকলে, আপনার এখনকার প্রস্তুতিতে গাফিলতি চলে আসে। তাই মনকে বোঝান, আপনি রিভিশন দেওয়ার কোন সুযোগ নাও পেতে পারেন, তবুও পরীক্ষার হলে, সুন্দরভাবে লিখতে পারার মতো প্রস্তুতি নিন।
[১০] নিজেকে যাচাই ধাপঃ মডেল টেস্ট পরীক্ষা দিন। এক্ষেত্রে, কোচিং আপনাকে সহায়তা করতে পারে। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে মডেল টেস্টের প্রশ্ন পাবেন, সেগুলো ব্যবহার করে বাড়িতেই মডেল টেস্ট পরীক্ষা দিতে পারেন। অথবা প্রানের চেয়ে প্রিয় শত্রু-কে দায়িত্ব দিতে পারেন, আপনার জন্য একটা প্রশ্ন তৈরি করে দিতে, যার উপর আপনি বাড়িতে বসেই পরীক্ষা দিবেন।
Helpline: 88-01911-088 706 [3 pm to 8 pm]
|