এএমআইই (Associate Membership of the Institution of Engineers) হলো ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) পরিচালিত একটি পরীক্ষার নাম, যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, আইইবি-র এসোসিয়েট মেম্বারশিপ দেওয়া হয় এবং একই সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং এ গ্রাজুয়েশন কমপ্লিটের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে আপনি নিজেকে একজন "প্রকৌশলী" হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পেয়ে থাকেন । এএমআইই(সেকশন-এ এবং বি) পাশকে "বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর সমমান" হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং যোগ্যতার সকল সরকারী চাকুরীসমূহে এএমআইই পাশ করা প্রকৌশলী আবেদনের সুযোগ পেয়ে থাকেন । ৪ টি বিষয়ে এএমআইই পড়ার সুযোগ রয়েছে । ইলেক্ট্রিক্যাল, সিভিল, মেকানিক্যাল এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং । আপনি যে বিষয়েই পড়াশুনা করেন না কেন, আপনাকে সেকশন-এ এবং বি-তে সবমিলিয়ে ১৬ টি কোর্সে সর্বমোট ১৬০০ মার্কসের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে । এএমআইই পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-র ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা কিংবা চট্টগ্রাম শাখার যেকোনো একটি শাখায় ভর্তি হতে হবে । ভর্তির একবছর পর সর্বপ্রথম পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবেন । প্রথমবার পরীক্ষা দেওয়ার পর, প্রতি ৬ মাস পরপরই পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবেন । এএমআইই পরীক্ষাসমূহ বাংলাদেশের ৪টি সরকারী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (BUET/RUET/CUET/KUET) এপ্রিল এবং অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে । কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহন বাদ না গেলে এবং কোন পরীক্ষায় ফেল না করলে দুই বছরেই এএমআইই পাশ করে "প্রকৌশলী" হওয়া সম্ভব । পাশ করার পর, বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যাবে বিভিন্ন "প্রফেশনাল ক্যাডারে"। এছাড়া মোবাইল কোম্পানিসমূহ (যেমন বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, সিটিসেল ইত্যাদি), রিয়েল এস্টেট কোম্পানিসমূহ, স্কয়ার, এসিআই, বেক্সিমকো, পপুলার, ইবনে সিনা, ইনসেপটা, একমি প্রভৃতি ওষুধ কোম্পানিসমূহে, ডেসা, ডেসকো, সিঙ্গার, র্যাঙ্কস, তোসিবা, হুন্দাই, কনিকা, কনকা, সিমেন্স, স্যামসাং, নোকিয়া, এরিকসন, হুয়াই, সেবা টেলিকম, যুবক ফোন, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল প্রতিষ্ঠানসমূহে, পাওয়ার গ্রিড, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি), বিভিন্ন পাওয়ারপ্ল্যান্ট সমূহে, বাংলাদেশ বিমান, আকিজ লিমিটেড সহ সকল ধরনের সরকারী এবং বেসরকারি চাকুরীর জন্য আবেদন করা যাবে।
|