[ফেসবুক লিংকঃ www.facebook.com/groups/amie.engineers.virtual.classroom , ফেসবুকের এই গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ পোস্টসমূহ আপনি এখানে পাবেন । ]
A.M.I.E. New Syllabus-2015 !
Let's Make a Fresh Start !
Let's Take a New Challenge to be an Engineer !
পরিকল্পনা হোক নিচের মতো, সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে হয়ে উঠুন ইঞ্জিনিয়ার, টানা ৩ বছরে ! এক টার্মে সর্বচ্চ ৪টি বিষয়ের ফর্ম ফিলাপ করা যাবে বিধায়, আর নয় এলোমেলো ফর্মফিলাপ, এলোমেলো প্রস্তুতি, শুরু থেকেই শুরু হোক, নতুন করে, নতুনের শুরু ! রেজাল্ট করতে হবে অনেক ভাল, লক্ষ্য রাখতে হবে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ! বেসরকারি জবসেক্টরে ভাল রেজাল্ট, সেকশন-এ শেষের পর কম্পিউটার ট্রেনিং, সেকশন-বি শেষে ৩ মাসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং আগের তুলনায় এএমআইই পাশের সার্টিফিকেট-কে দেবে আগের তুলনায় বেশি গ্রহণযোগ্যতা । ভাল গ্রহণযোগ্যতা পেতে আপনাকে তাই, পরিশ্রমও করতে হবে আগের চেয়ে বেশি !
আজ থেকেই করে ফেলুন ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনার নতুন পরিকল্পনা, নিচের মতো করে !
Electrical & Electronic Engineering (EEE)
*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-
First Term (Exam-October-2015)
*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-
1 Mathematics -I
2 Physics
5 Mathematics –II
8 Elementary Electrical Engineering
*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-
Second Term (Exam-October-2015)
*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-
3 Properties and Mechanics of Materials
4 Basic Fluid Mechanics
6 English and Economics
7 Thermal Engineering
*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-
Third Term (Exam-October-2015)
*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-
9 Engineering Drawing
10 Elementary Electronics
11 Chemistry
সেকশন - এ শেষ হোক জিপিএ ৩.৫০-৩.৭৫ নিয়ে ! আর সেজন্য কেমন পেতে হবে প্রতিটি কোর্সে?
দেখুন নিচের হিসাব-নিকাশ ~!
*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-
First Term (Exam-October-2015)
*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-
1 Mathematics -I - > এ+ গ্রেড - > ৪.০০
2 Physics -> এ+ গ্রেড -> ৪.০০
5 Mathematics –II -> এ+ গ্রেড - > ৪.০০
8 Elementary Electrical Engineering - > এ+ গ্রেড - > ৪.০০
*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-
Second Term (Exam-October-2015)
*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-
3 Properties and Mechanics of Materials - > বি গ্রেড -> ৩.০০
4 Basic Fluid Mechanics -> এ- গ্রেড -> ৩.৫০
6 English and Economics -> বি গ্রেড ->৩.০০
7 Thermal Engineering -> বি গ্রেড - > ৩.০০
*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-
Third Term (Exam-October-2015)
*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-
9 Engineering Drawing - বি গ্রেড - > ৩.০০
10 Elementary Electronics - বি গ্রেড - > ৩.০০
11 Chemistry - এ- গ্রেড - > ৩.৫০
জিপিএ = (4.00+4.00+4.00+4.00+3.00+3.50+3.00+3.00+3.00+3.00+3.50)/11 = 38/11 = 3.46*
উপরের বিভিন্ন কোর্সের গ্রেড অনুমানকরে ধরা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের বোঝার সুবিধার্থে ! এখানে অনুমাননির্ভর একটি হিসাবনিকাশ দেওয়া হয়েছে, যা থেকে কিছু বিষয় পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছেঃ
১। জিপিএ ৩.৫০ বা তার কাছাকাছি পেতে, আপনাকে কমপক্ষে ৪ টি কোর্সে এ+ (৮০% মার্কস), ৫ টি কোর্সে বি গ্রেড (৬০% মার্কস), এবং ২ টি কোর্সে এ- গ্রেড (৭০% মার্কস) পেতে হবে ।
এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে, পুরাতন ফরম্যাটের সিলেবাসেই অধিকাংশ শিক্ষার্থীর রেজাল্ট যেখানে জিপিএ ৩.০০ এর নিচে হয়ে থাকে, সেখানে নতুন ফরম্যাটের সিলেবাসে এই রেজাল্ট কি সম্ভব ! হ্যাঁ সম্ভব ! কেন ? কারণ ??
#কারন-০১ সিলেবাসের কলেবর বৃদ্ধির কারনে, কম্পিউটার ট্রেনিং এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং যুক্ত করার ফলে, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এএমআইই-র গ্রহণযোগ্যতা আগের তুলনায় কিছুটা বাড়বে । সেজন্য ডুয়েটে চান্স না পাওয়া মেধাবীরা আগ্রহী হবে এএমআইই পড়তে, আগের তুলনায় অনেক বেশি ! মেধাবী শিক্ষার্থীদের পরিশ্রম, মেধা আর সুন্দর পরিকল্পনা, রেজাল্ট ভাল করার জন্য প্রধান কাঁচামাল । এবার কাচামালের জোগান নিঃসন্দেহে আগের তুলনায় বেশি থাকবে !
#কারন-০২ এএমআইই পাশ করতে নুন্যতম ৩ বছর লাগবে এখন ! আর কেউ এটাকে ২ বছরের প্রোগ্রাম হিসেবে সিল মারতে পারবে না । এটা মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির প্রধান অন্তরায় ছিল । অনেক মেধাবী এএমআইই ছেড়ে দেয় বা হতাশায় নিমজ্জিত হতো আগে এমএসসি তে ভর্তির সুযোগ না থাকায় । এখন সিলেবাসের কলেবর বৃদ্ধি, M.Sc. Engineering পড়ার যোগ্য হিসেবে দাবির প্রধান শক্তি । BUET কখনই এএমআইই পাশ প্রকৌশলীদের M.Sc. Engineering পড়ার সুযোগ দেবে না, কিন্তু এবার DUET দেবে বলে আশা করা যায় । RUET, CUET, KUET ও দেবে বলে আশা করা যায় । Shahjalal Science & Technology University যদি M.Sc. Engineering প্রোগ্রামে Electrical and Electronic Engineering (EEE) এবং Civil Engineering (CE) দেরকে A.M.I.E. পাশ প্রকৌশলীদের সুযোগ দিতে পারে ।
New Syllabus -এর আলোকে ৩ বছর পর আপনার অবস্থান তৈরি করতে এখন থেকেই করণীয়
#make Your A.M.I.E. Completion Plan !
#Make Your Higher Study Plan !
#Make Your Career Plan !
#Make Your Confidence and Work Harder !
M.Sc. Engineering পড়তে নতুন সিলেবাসে পড়াশুনা শুরু করতে যাওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের কি কি করণীয়
১। সেকশন-এ এবং বি এর রেজাল্ট নুন্যতম ৩.০০ রাখা, যদি সম্ভব হয়, খুব ভাল রেজাল্ট করার জন্য খুব বেশি পড়াশুনা করা । সিলেবাসের অগ্রহনযোগ্যতা নিয়ে যে সংশয় ছিল, সেটা পুরোপুরি দূর না হলেও কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হয়েছে । এখন যে সিলেবাস হয়েছে, তা দিয়ে বুয়েটে পড়ার স্বপ্ন পূরণ না হলেও আপনার ডুয়েটে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে বলে আশা করা যায় । তাই, সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করুন ।
২। রেজাল্ট ভাল করার জন্য, একটি একটি করে কোর্স টার্গেট করুন । সিলেবাসের সকল টপিকস কভার করুন । বিগত বছরের প্রশ্নের উপর নির্ভর করবেন না । যেসকল কোর্স নতুন যুক্ত হয়েছে, সেগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই । সিলেবাস ফলো করে পড়তে থাকুন । "ইংলিশ এবং ইকোনমিক্স" এবং কেমিস্ট্রি-র জন্য বুয়েটের বিগত বছরের প্রশ্ন দেখুন ।
৩। ম্যাথমেটিক্স-১ এবং ম্যাথমেটিক্স-২ এর জন্য বিগত বছরের "ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাথমেটিক্স" কোর্সের প্রশ্নপত্র দেখুন । ম্যাথমেটিক্স -২ এর সিলেবাসে অল্প কিছু নতুন বিষয় যুক্ত হয়েছে । সেগুলো নিয়ে পড়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ।
-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-
কেউ পারেনি, আপনিও পারবেন না ! ~~~~~ এটা ভুলে যান !
*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*
১। এএমআইই এর অতীত পরিসংখ্যান দেখে ভয় পাবেন না । পরিসংখ্যান গড়ে ওঠে শিক্ষার্থীদের চেষ্টা, পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের উপর । ৬৮ বছরের পরিসংখ্যান যায় থাকুক না কেন, নতুন সিলেবাসের আলোকে নতুন ইতিহাস, নতুন পরিসংখান গড়ে উঠবে আপনার হাতে !
২। শুরু থেকে পরিশ্রমী হন, সঠিক গাইডলাইন ফলো করে পড়াশুনা করুন, পড়ুন । যত বেশি পড়বেন, আপনার নিজের প্রতি আপনার আত্মবিশ্বাস ততো বেশি বৃদ্ধি পাবে । যত কম পড়বেন, ততো বেশি মনে হবে, ~~"আপনার দ্বারা সম্ভব না ! " ~
নতুনের অপেক্ষায় ছিল সবাই বহুদিন ধরে, নতুনের শুরু তো হলো !
এখন অতীত ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলুন । আমরা আছি, সকলের সাথে ।
তারিখ- ০৪/০৩/২০১৫
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক !
টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট বিক্রয়, শিক্ষা-কে বানিজ্যে রূপ দেওয়া, টাকা থাকলেই ভর্তির সুযোগ প্রাপ্তি, ৫-বছর পার হলেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম না চালানো, নামমাত্র জমি দেখিয়ে দলীয় বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি প্রাপ্তি, মার্কেটের উপরে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো সহ হাজারো অভিযোগ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ! ! !
কিন্তু, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও সর্বচ্চ বিদ্যাপীঠ, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের" শিক্ষক হওয়া যায় ! ! ! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হতে পারাই যেখানে বাংলাদেশের লাখো শিক্ষার্থীদের জন্য দারুন সৌভাগ্যের এবং গর্বের বিষয়, সেখানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাশ করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার কথা কি কল্পনা করা যায় ! ? ?
চলুন শোনা যাক, সেই মেধাবীর কথা !
Name: Rashed Sarwar
Designation:Lecturer
Qualification: BSc. EEE; MSc Nuclear Engineering
Phone: +88017110815**
Email: sarwar_r87@hotmail.com
রাশেদ সরকার !
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়েছেন ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ! তারপর সুইডেনের Chalmers University of Technology থেকে নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এ এমএসসি কমপ্লিট করেন । সেখানে তিতিনি নিউক্লিয়ার সেফগার্ড গ্রুপের সাথে রিসার্চ করেন এবং ২০১৩ সালে যোগ দেন ওয়াশিংটনহাউস ইলেক্ট্রিক সুইডেন নামক প্রতিষ্ঠানে ! ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক হিসেবে ! ! !
বর্তমানে সিমুলেশনের কমপিউটেশন সময় ইম্প্রুভ করার জন্য ফিউশন ম্যাট্রিক্স ব্যবহার করে Monte Carlo process ডেভেলপ করা নিয়ে কাজ করছেন ! ! !
কেন শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে !? ?! প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাত্ন বর্ণনা ?
না ! ! !
যেখানেই পড়ুন, আপনার মধ্যে যদি কোয়ালিটি থাকে, তবে, আপনি ঠিকই একদিন আপনার জন্য যথোপযুক্ত অবস্থানে পৌঁছে যাবেনই ! ! ! রাশেদ সরকার - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেননি ! বুয়েট, রুয়েট, চুয়েট,কুয়েটে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সৌভাগ্য তার হয়নি, পারেননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ! কিন্তু নিজের যোগ্যতা প্রদর্শন করেই তিনি নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং - এর শিক্ষক ! ! ! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ! ! !
ডুয়েটে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সৌভাগ্য আপনাদের হয়নি বলেই এএমআইই তে পড়ছেন ! তো, কি হয়েছে ! ? !? !
আপনার মধ্যে যদি কোয়ালিটি থাকে, আর সেটা যদি আপনি প্রমাণ করতে পারেন, তবে, আপনার প্রাপ্য আপনি পাবেনই ! আজ হোক, বা কাল হোক ! ! !
[পোস্টের তারিখ - ০৩/১২/২০১৪]
এএমআইই তে সদ্য ভর্তি হওয়া অধিকাংশের প্রথম প্রশ্ন থাকে, "কি করলে এএমআইই পাশ করা সম্ভব " !
উত্তরঃ পড়াশুনা
দ্বিতীয় প্রশ্ন থাকে, "এএমআইই নাকি অনেক কঠিন, পাশ করা যায় না, কেন? "
উত্তরঃ পড়াশুনা করে না বলে পাশ করে না !
তৃতীয় প্রশ্ন থাকে, "এএমআইই টেনেটুনে পাশ করলেও নাকি রেজাল্ট ভাল হয় না, কেন"?
উত্তরঃ পড়াশুনা করে না বলে, রেজাল্ট ভাল হয় না, যারা পড়াশুনা করে, তারা ভাল রেজাল্ট করে, সেকশন বি তে ৩.৫৬ পাওয়ার মতো ঘটনাও প্রায় প্রতিবছরেই ঘটে !
অনেকে ভয় দেখায়, "এএমআইই পাশ করা সম্ভব নয়, তাই, প্রাইভেটে পড়, কি করবো প্রাইভেটে ভর্তি হবো "?
উত্তরঃ যে পড়া-কে ভয় পায়, পড়া ছাড়া ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপন দেখে, তার জন্য করুনা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই ! আপনি বরং প্রাইভেটেই পড়ুন ! অন্তত বিয়ের সময় পাত্রিপক্ষ কে তো বলতে পারবেন, "বিএসসি পাশ করেছি ~ !"
যেদিন থেকে বুঝলাম বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ভাল রেজাল্ট সামনের কঠিন পথগুলোকে সহজ করে দেয়, আর ভাল রেজাল্ট করার শেষ উপায়, "পড়া", সেদিন থেকে অনেক অসম্ভবই সম্ভব মনে হতে লাগলো ! জীবনে ভাল কিছু করতে গেলে, ভাল কিছু হতে গেলে, পড়ার কোন বিকল্প নেই !
ভাল সায়েন্টিস্ট হতে গেলে, অন্য সায়েন্টিস্টের শত শত রিসার্চ পেপার আপনাকে পড়তে হবে !
ভাল ডাক্তার হতে গেলে, শত শত ডাক্তারি বই পড়তে হবে, সাম্প্রতিক রিসার্চ এবং পদ্ধতিসমূহের উপর পড়াশুনা করতে হবে, কারণ ৫ বছরের এমবিবিএস যখন পড়ে একজন ডাক্তার তারপর ৪০ বছর ধরে ডাক্তারি করে ! এই ৪০ বছরে ডাক্তারি জগতে কি পরিমাণ বিপুল পরিবর্তন আসে, সেটা বোধহয় সকলেই জানে, ডাক্তার না হলেও জানে ~! তাই, ডাক্তারকে আজিবন পড়তে হয় ! ইঞ্জিনিয়ারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য ! একবার চিন্তা করে দেখুন, প্রযুক্তি বাজারে কম্পিউটার প্রকৌশলীরা প্রতিনিয়ত ডিজাইন করে যাচ্ছে আধুনিক প্রসেসর, আপনার কি মনে হয়, এসকল ইঞ্জিনিয়াররা ৪-৫ বছর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েই আজিবন কাজ করে যাচ্ছেন ? তাদেরকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আজীবন পড়তে হয় ! নতুন নতুন প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং দুনিয়ায়, সেগুলো নিয়ে তাকে পড়তে হয়, হোক সে কম্পিউটার প্রকৌশলী, তড়িৎ প্রকৌশলী, ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশলী বা সিভিল প্রকৌশলী । মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পর ভারতের টাটা কোম্পানিতে যারা চাকুরী করছে, সেই ২০-২৫ হাজার প্রকৌশলীরা কি ৪-বছর B.Tech আর ১.৫-২ বছরের M.Tech কমপ্লিট করে ৪০ বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ারিং ফিল্ডে কাজ করতে পারবে ? ~ আপনার কি মনে হয় ? টাটা কোম্পানির সাথে প্রতিযোগিতা করছে যেসকল গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, তাদের চেয়ে ভাল এবং সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে প্রচুর পড়তে হয় ২০-২৫ হাজার প্রকৌশলীকে ! আজীবন !
বুঝতেই পারছেন, সায়েন্টিস্ট হন, ইঞ্জিনিয়ার হন, আর ডাক্তার হন, পড়তে আপনাকে হবেই ! পড়া , পড়া এবং পড়া ছাড়া সত্যিই কোন উপায় নেই !
প্রচুর পড়লেই যে আপনি সফল হবেন, সেটা সুনিশ্চিত ভাবে বলা যায় না, তবে, প্রচুর পড়লে যে আপনি প্রচুর জ্ঞানার্জন করবেন, সেটা সুনিশ্চিত !
[পোস্টের তারিখ - ২০/১০/২০১৪]
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (MIST) , এমন একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট যেখানে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পর্যায়ে অধ্যয়নের সুযোগ পেয়ে থাকে এএমআইই কমপ্লিট করা প্রকৌশলী ! MIST মুলত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (BUP) এর অধীন একটি ইনস্টিটিউট বিধায় এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর সার্টিফিকেট পাবেন BUP থেকেই !
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ২০১৪ সাল থেকেই চালু হয়েছে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নুন্যতম ২.৭৫ সিজিপিএ নিয়ে এএমআইই কমপ্লিট করলেই আপনি আবেদন করতে পারবেন এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পর্যায়ে অধ্যয়নের জন্য । লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার পরই সুযোগ মিলবে চূড়ান্ত সুযোগ প্রাপ্তির জন্য ~!
এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে সর্বমোট ৩৬ ক্রেডিট পাশ করতে হবে যেখানে ৬ টি থিওরি কোর্স পড়তে হবে ১৮ ক্রেডিটের এবং ১৮ ক্রেডিটের থিসিস সম্পন্ন করতে হবে । এম ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে, ১০ টি থিওরি কোর্স পড়তে হবে ৩০ ক্রেডিটের এবং ৬ ক্রেডিটের প্রোজেক্ট সম্পন্ন করতে হবে ।
গত ৪ বছরে বের হওয়া ৮ টি ব্যাচের রেজাল্ট পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ১২-১৫ জন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করতে পেরেছে যার মধ্যে সিজিপিএ ২.৭৫ পেয়েছে ৫-৭ শিক্ষার্থী ! অর্থাৎ গত ৪ বছরে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে এএমআইই পাশ করা মাত্র ৫-৭ শিক্ষার্থী মাস্টার্স পর্যায়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য আবেদন করতে পারবে !
আপনার লক্ষ্য যদি বড় হয়, সেজন্য আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে । রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমী (www.royalengineeringacademy.page.tl) সবসময়ই আপনাদের পাশে থাকবে আপনাদের লক্ষ্য আর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য নিয়ে ।
General Courses
ME 6000 Thesis(M. Sc. Engg.) 18 Project (M. Engg) 6 Thesis (Ph. D.) 45
ME 6001* Seminar Non credit
ME 6003 Engineering Problem 3
ME 6183 Finite Element Methods 3
ME 6185* Advanced Numerical Analysis 3
ME 6401 Advanced Mechatronics3
Division of Fluid Mechanics
ME 6123 Mechanics of Inviscid Incompressible Fluid 3
ME 6125 Mechanics of Viscous Fluid 3
ME 6127 Mechanics of Inviscid Compressible Flow 3
ME 6129 Turbulence 3
ME 6131 Wind Power 3
ME 6133 Wind Turbines 3
ME 6135 Advanced Aerodynamics 3
ME 6189 Computational Fluid Dynamics 3
Division of Thermal Engineering
ME 6101 Classical Thermodynamics 3
ME 6103 Statistical Thermodynamics 3
ME 6111 Solar Energy 3
ME 6113 Energy Engineering 3
ME 6143 Advanced Conduction and Radiation Heat Transfer 3
ME 6145 Advanced Convection Heat Transfer 3
ME 6147 Design of Heat Transfer Equipment 3
ME 6151 Boiling and Condensation Heat Transfer 3
ME 6153 Inverse Heat Transfer Problems 3
ME 6155 Heat Transfer Enhancement3
ME 6157 Alternative Fuels for Engines3
ME 6161 Thermal Environmental Engineering 3
ME 6163 Combustion Engineering 3
Division of Applied Mechanics
ME 6005 Tribology 3
ME 6171 Advanced Dynamics 3
ME 6173 Mechanical Vibrations 3
ME 6175 Applied Elasticity 3
ME 6177 Theory of Plates and Shells 3
ME 6179 Elastic Stability of Structures 3
ME 6181 Experimental Stress Analysis 3
ME 6191 Engineering Acoustics and Noise Control 3
ME 6193 Variational Methods in Structural Mechanics 3
ME 6201 Mechanical Behaviour of Engineering Materials 3
ME 6203 Structure and Properties of Engineering Materials 3
ME 6205 Theory of Plasticity 3
ME 6209 Mechanics of Composite Materials3
ME 6211 Smart Materials3
ME 6301 Surface Engineering 3
ME 6213 Fracture Mechanics 3
[পোস্টের তারিখ - ২৬/১১/২০১৪]
একজন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট, ফ্লুয়িড মেকানিক্সে যেসকল টপিকস এর উপর জ্ঞানার্জন করে থাকে, নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হলো । সিলেবাস ফলো করে পড়াশুনা করতে হবে । নিচের সিলেবাস বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর সিলেবাস । বুয়েটের শিক্ষকরাই সাধারণত এএমআইই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সেট করে থাকেন বিধায় এই সিলেবাসের বিষয়বস্তুর উপর নলেজ থাকা শিক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এএমআইই এর ফ্লুয়িড মেকানিক্সের সিলেবাস এবং বুয়েটের ফ্লুয়িড মেকানিক্সের সিলেবাস প্রায় একই । তাই, শিক্ষার্থীকে নিচের সিলেবাস ফলো করে পড়াশুনা করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো ।
BUET SYLLABUS
ME 321 : Fluid Mechanics - I
3.00 Credit Hours
Fundamental concept of fluid as a continuum; Fluid statics: basic hydrostatic equation, pressure variation in static incompressible and compressible fluids; Manometers; Forces on plane and curved surfaces; Buoyant force; Stability of floating and submerged bodies; Pressure distribution of a fluid in a rotating system.
Relation between system approach and control volume approach; Continuity , momentum and energy equations; Special forms of energy and momentum equations and their applications; Pressure, velocity and flow measurement devices.
Introduction to in viscid incompressible flow to include two dimensional basic flows.
ME 323 : Fluid Mechanics - II
3.00 Credit Hours
Prerequisite: ME 321
Dimensional analysis and similitude; Fundamental relations of compressible flow; Speed of sound wave; Stagnation states for the flow of an ideal gas; Flow through converging diverging nozzles; Normal shock. Real fluid flow; Frictional losses in pipes and fittings.
Introduction to boundary layer theory; Estimation of boundary layer and momentum thickness, Skin friction and drag of a flat plate.
Introduction to open channel flow; Best hydraulic channel cross-sections; Hydraulic jump; Specific energy; Critical depth.
Text and Ref books:
1. Fluid Mechanics with Engineering Applications – Robert L. Daugherty, Joseph B. Franzini, E. John Finnemore, Publisher – Mc Graw-Hill companies, 8th edition, 1985.
2. Introduction to Fluid Mechanics – Robert W. Fox, T. Mcdonald, Publisher – John wiley and sons, 2003.
3. Fluid Mechanics – Frank M. White, Publisher – Mc Graw-Hill, 1979.
4. Engineering Fluid Mechanics – K. L. Kumar.
5. Fluid Mechanics-by Victor L.Streeter E. Benjamin wylie.
6. Fluid Mechanics through worked out problems- By Md. Quamrul Islam & A.C Mondal.
বুয়েটে এই ৬ টি বই ব্যাবহার করা হয়ে থাকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পর্যায়ে । শিক্ষার্থীদের সংগ্রহে থাকলে, প্রস্তুতিতে কাজে লাগবে । এই ৬ টি বই পিডিএফ আকারে সফটকপি আপনি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমী, রাজশাহী থেকে । (www.royalengineeringacademy.page.tl)
এই হলো বেসিক ফ্লুয়িড মেকানিক্সের এএমআইই-র সিলেবাস
Fundamental Concept and fluid as a continuum, Fluid Statics; The basic hydrostatic equation, pressure variation in static incompressible and compressible fluid, manometers, pressure distribution of a fluid in a rotating system, Stability of floating and submerged bodies. Continuity equation for a control volume, relation between system approach and control volume approach. Control volume form of the energy equation, special forms of energy equation. Application of energy equation. Flow through orifice, mouth piece, venture-meter and approximation of the momentum equation. Application of momentum equations. Similitude and dimensional analysis. Flow through converging diverging nozzle, Real fluid flow, frictional losses in pipes and fittings, laminar and turbulent flow in pipes. Drag forces, Introduction to open channel flow.
[পোস্টের তারিখ - ২৬/১১/২০১৪]
ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স কোর্সে অনেক বছর পর থিওরি প্রশ্ন এসেছে ! ! !
খুব বেসিক জিনিসগুলো থেকেই থিওরি প্রশ্ন এসেছে, যদিও কিন্তু থিওরির জন্য কেউই হয়তো প্রস্তুত ছিল না ! তাই, স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষার প্রশ্ন দেখে হতচকিত এবং ঈষৎ অবাক হয়েছে শিক্ষার্থীরা ! কিন্তু, এই প্রশ্নে পাশ করা সহজ ! ! !
ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স কোর্সের প্রশ্নপত্র আজ হাতে পেলাম, রাতে একটি পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ।
গত ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া স্পেশাল ব্যাচ-২০১৪ এর প্রথম ক্লাস "ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স" এর উপর ২৪ নাম্বার লেকচার শেষ হলো আজ । আশা করা যায় ৩০ শে নভেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে, "ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স" এর বাকি লেকচারসমূহ ।
আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে "বেসিক ফ্লুয়িড মেকানিক্স" কোর্সের লেকচার । সম্পূর্ণ কোর্সটিকে এই সেমিস্টারে সম্পূর্ণ ঢেলে সাজানো হয়েছে এএমআইই-এর পরিবর্তিত প্রশ্নের ধরণ অনুযায়ী । সাম্প্রতিক সময়ে প্রশ্নের ধারা যেহেতু পাল্টে গেছে, সেহেতু, রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমীর কোর্স প্ল্যান, লেকচার প্ল্যান, লেকচারের ধরণ, প্রশ্নপত্রের ধরণ, সবকিছুতেই আসছে পরিবর্তন ।
তাই, যোগ দিন ০২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া "বেসিক ফ্লুয়িড মেকানিক্স" কোর্সের ক্লাসে । "বিগত বছরের প্রশ্ন মুখস্থ করে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যায় না", "বিষয়বস্তুর উপর পরিপূর্ণ কনসেপ্ট থাকলে পরীক্ষায় যেভাবেই আসুক প্রশ্ন, উত্তর করা সম্ভব", "বাংলায় ভিডিও টিউটোরিয়াল-এর সাহায্যে বাড়িতে পাচ্ছেন ক্লাসের পরিবেশ !"
ডিসেম্বর মাস জুড়ে চলবে, বেসিক ফ্লুয়িড মেকানিক্স এর ক্লাস । তাই দেরি না করে যোগ দিন রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমীতে । গতানুগতিক ধারায় পরিবর্তন এসেছে এএমআইই-এর প্রশ্নপত্রে । রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমী সবসময়ই সময়ের চেয়ে একধাপ এগিয়ে ।
প্রত্যেক ক্লাসেই "বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল" প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে । পেনড্রাইভ সাথে আনুন এবং বিনামূল্যে সংগ্রহ করে নিন ভিডিও টিউটোরিয়ালসমূহ ।
স্বপ্ন পূরণ হোক আপনার, গড়ে তুলুন নিজেকে "ইঞ্জিনিয়ার" হিসেবে । আপনাকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গড়ে তোলার মধ্যেই আমাদের সুনাম, সমৃদ্ধি এবং সফলতা লুকিয়ে আছে বিধায়, আমরা আপনার প্রতি অত্যন্ত দায়িত্বশীল এবং আন্তরিক । আপনার স্বপ্ন নিয়েই আমাদের পথচলা ।
ভাল থাকুন ।
Hotline: +088 - 01911 - 088 706; +088- 01719- 033 364 [বিকাল ৫ টা - রাত ৮ টা]
[পোস্টের তারিখ - ১৮-ই নভেম্বর ২০১৪]
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং মূলত ডিজাইন, কনস্ট্রাকশন এবং রক্ষণাবেক্ষন এর প্রকৌশলবিজ্ঞান। প্রকৌশল জ্ঞান এর মা বলা হয় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কে । সবচেয়ে পুরানো, বড় এবং সকল প্রকৌশল জ্ঞানের সমন্বয়। এর ভাগগুলি নিচে দেয়া হলো: স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং , জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং , ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি ।
সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর পরিসর বাড়ছে, আর তাই এর অনেক শাখা বের হয়েছে। এদের উল্লেখযোগ্য হলো স্ট্রাকচারাল, জিওটেক , ট্রান্সপোর্টসন, হাইড্রলিক,এনভায়রনমেনটাল , ইত্যাদি । পৃথিবীর প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে গেলে যে বিষয়টি মানুষের মাথায় খেলা করে তা হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বা পুরকৌশল।।একজন সাধারণ মানুষ ইঞ্জিনিয়ার বলতে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকেই কল্পনা করে থাকেন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সভ্যতার শুরু থেকেই বিস্তার লাভ করে আসছে। বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ছোঁয়া লাগেনি। সবচেয়ে পুরাতন, বড় এবং সকল প্রকৌশল জ্ঞানের সমন্বয় এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং। সুউচ্চ ভবন, হাইওয়ে,ব্রীজ,পানি প্রকল্প, পাওয়ার প্লান্ট ইত্যাদি পরিকল্পনা, ডিজাইন, গঠন এবং রক্ষনাবেক্ষন করার কাজ করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জরিপের কাজ করে থাকে, প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন দেয়, এমনকি প্রকল্প ব্যবস্হাপক এর কাজও করে থাকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমানে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়েও কাজ করে। তারা আগুনে ক্ষয় ক্ষতি যেন কম হয় সেই বিষয়েও কাজ করে। পুরাতন মিশর এর পিরামিড বা রাস্তা নির্মাণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের উল্ল্যেখযোগ্য অবদান ছিল। প্রকৌশল বিজ্ঞান এর মধ্যে সবচেয়ে পুরানো হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গুরুত্ত্ব এবং প্রয়োগ সময়ের সাথে সাথে যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর গুরুত্ত্ব । বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে ডেভেলপার ফার্ম বা কনস্ট্রাকশন ফার্ম তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে যেখানে প্রচুর সংখ্যক সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কাজ করছে । বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছে, অনেক বড় একটি চাকুরীর ক্ষেত্র যেখানে ২০-২৫ হাজার প্রকৌশলী কাজ করছে ! প্রকৌশল ফিল্ডে কাজের ক্ষেত্রে ব্যাচেলর ডিগ্রী থাকলে, কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা তৈরি করা যেমন সহজ হয়ে ওঠে, তেমনি, মোটা বেতনের চাকুরীর সুযোগ এবং সামাজিক সম্মান তো রয়েছেই । প্রচুর নিয়োগ হচ্ছে বর্তমানে । দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা প্রচুর এই ফিল্ডে । পৃথিবীর অনেক দেশেই মোটা বেতন এবং সুনামের সাথে বাংলাদেশি সিভিল প্রকৌশলীরা দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে, একই সাথে প্রচুর প্রকৌশলী এবং ডিপ্লোমাধারীরা দেশের বাইরে এই ফিল্ডে কাজ করার জন্য গমন করছেন ।
এখন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রধাণ শাখাসমুহ সম্পর্কে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলোঃ
স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং -
বাড়ি,হোটেল, পার্ক, ব্রীজ, বিল্ডিং ইত্যাদির উপরে নিজস্ব ভার বা বাইরের ভার প্রতিরোধ ক্ষমতা সহ বাতাস,পানি,ভুমিকম্প,তাপমাত্রা ইত্যাদির প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য সিমেন্ট,বালি,রি- ইনফোর্সমেন্ট,কাঠ, অন্যান্য উপাদানের সমন্বয়ে সঠিক ডিজাইন করা হলো এই শাখার কাজ।
এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং -
পরিবেশ তথা বাতাস এবং পানির দুষণ রোধ, বিশুদ্ধকরণ ইত্যাদি করা এই শাখার কাজ। বর্তমানে এটি একটি গুরুত্বপুর্ন শাখা। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বর্জ্য, মল ইত্যাদি অপসারণ এবং বিশুদ্ধকরণ করা নিয়ে আলোচনা করা হয় এই শাখাতে।
জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং -
প্রায় সকল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শাখাতেই এটি কাজে লাগে। কারণ বেশির ভাগ স্ট্রাকচার ভুমির উপর অবস্থিত। মাটি বা পাথরের এর উপর স্ট্রাকচার এর প্রভাব এবং এদের বৈশিষ্ঠ্য নিয়ে আলোচনা করে এই শাখাটি। ভুগর্ভের সিপেজ,ভুমিকম্পের প্রভাব, স্থিতিশিলতা ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শাখাটি। বাধ, রিটেইনিং ওয়াল, ফাউন্ডেশন ইত্যাদির আংশিক ডিজাইন করা হয় এই শাখার মাধ্যমে।
ওয়াটার রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং
পানি আমাদের জিবনে অনেক গুরুত্বপুর্ন এটা আমরা সবাই যেমন জানি, তেমনি এটাও ঠিক যে এটি অত্যান্ত্য সাধারণ একটি কথা। আবার এই পানি আমাদের মরণও ডেকে নিয়ে আসে। তাও আমরা জানি। পানি সম্পদ প্রকৌশল পানির ভৌত অবস্থা নিয়ে আলোচনা করে। বন্যা, শহরের-কারখানা-সেচ এর পানি সরবরাহ, নদি ভাঙ্গন রোধ, নদির শাষন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা এবং ডিজাইন করে থাকে। হাইড্রলিক পাওয়ার, বাধ, খাল, পানিধস ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে এই শাখাটি।
ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
কোন সমাজের বৈশিষ্ঠ্য বা গুন এর যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে। কোন সমাজের উন্নয়ন অনেকটা প্রভাবিত হয় এই যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর। মানুষ, মালামাল ইত্যাদি পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে গবেষনা, ডিজাইন, সমস্যা, সমাধান নিয়ে কাজ করে ট্র্যান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং। অল্প রাস্তায় অধিক পরিবহন সুবিধা, দুর্ঘটনা কমানো, খরচ কমানো ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে এই শাখাটি।
কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং -
এই শাখাতে আলোচনা করা হয় যে কি ভাবে একটি কাঠামো গঠন করতে হবে। অর্থের ব্যবহার, সময়ের সংক্ষেপন, প্রয়োজনীয় মালামাল-যন্ত্রপাতি ইত্যাদির যোগান, কাঠামো গঠনের পদ্ধতি বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা হয় শাখাতে।
সরকারী ৫ টি প্রকৌশলবিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি অনেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে পাঠদান করা হয় । প্রায় প্রতিটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং চালু রয়েছে, যদিও অধিকাংশেরই IEB Accreditation নেই । IEB Accreditation না থাকলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রচুর সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় ডিজাইন লেভেলে । এএমআইই পাশ করে আইইবি-র মেম্বারশিপ পাওয়া যায় বিধায়, সেই সমস্যা সমাধান করার জন্য অনেকেই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি এএমআইই পড়েন । অনেকে শুধু এএমআইই পড়েন । যারা শুধুমাত্র এএমআইই পড়ছেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ, তাদেরকে সীমিত সংখ্যক কোর্স পাশ করতে হয় ।
এখন, আপনি কি এএমআইই পাশ করে, কমপ্লিট সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হতে চান? তবে, নিজ দায়িত্বে পড়ে ফেলুন নিচের কোর্সসমূহঃ
একনজরে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট-কে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেভেলে যেসকল থিওরি কোর্স পড়তে হয়, সেগুলোর লিস্টঃ
CE 100 Civil Engineering Drawing
CE 101 Analytic Mechanics
CE 102 Computer Aided Drafting
CE 103 Surveying and spatial information Engineering
CE 200 Details of Construction
CE 201 Engineering Materials
CE 203 Engineering Geology & Geomorphology
CE 211 Mechanics of Solids I
CE 104 Practical Surveying
CE 210 GIS and Remote Sensing
CE 205 Numerical Methods
CE 208 Quantity Surveying
CE 213 Mechanics of Solids II
CE 261 Fluid Mechanics
CE 207 Applied Mathematics for Engineers
CE 214 Architectural, Engineering and Planning Appreciation
CE 311 Structural Analysis & Design I
CE 315 Design of Concrete Structures I
CE 331 Environmental Engineering I
CE 341 Principle of Soil Mechanics
CE 301 Professional Practices and Communication
CE 317 Design of Concrete Structures II
CE 319 Design of Steel Structures
CE 351 Transportation Engineering I: Transportation Planning and Traffic Engineering
CE 361 Open Channel Flow
CE 333 Environmental Engineering II
CE 401 Project Planning & Construction Management
CE 411 Structural Analysis & Design II
CE 463 Hydrology, Irrigation & Flood Management
CE 441 Foundation Engineering
CE 451 Transportation Engineering II: Pavement Design and Railway Engineering
CE 452 Transportation Engineering Sessional I: Highway Materials and Transportation Engineering Design
বেসিক এবং কোর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স বাদে অন্য কোর্স অন্যান্য কোর্সসমূহের লিস্টঃ
Phy 101 Physical Optics, Waves and Oscillation, Heat and Thermodynamics
Chem 103 Chemistry I
Chem 114 Inorganic Quantitative Analysis
Math 137 Differential and Integral Calculus, Matrices
Hum 175 / Hum 155 Government / Sociology
Phy 105/ Chem 105 Structure of Matter, Electricity and Magnetism and Modern Physics/Chemistry II
Phy 102 Physics Laboratory
Math 139 Differential Equations and Statistics
EEE 165 Basic Electrical Technology
Hum 185 English
Hum 186 Developing English Language Skills
Math 237 Laplace Transform and Vector Analysis
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টদেরকে যেসকল ল্যাবকোর্স সম্পন্ন করা লাগে, সেগুলোর লিস্টঃ
Shop 132 Workshop Sessional
CE 202 Materials Sessional
CE 204 Computer Programming Sessional
CE 206 Engineering Computations Sessional
CE 262 Fluid Mechanics Sessional
CE 212 Structural Mechanics & Materials Sessional
CE 342 Geotechnical Engineering Laboratory
CE 332 Environmental Engineering Laboratory
CE 302 Professional Practices and Communication Sessional
CE 316 Concrete Structures Design Sessional I
CE 300 Civil Engineering Students’ Internship Program (CESIP)
CE 320 Steel Structures Design Sessional
CE 362 Open Channel Flow Sessional
CE 400 Project & Thesis
# CESIP মূলত ৪ সপ্তাহের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম এবং Shop 132 Workshop Sessional মূলত ২ সপ্তাহের একটি ওয়ার্কশপ প্রোগ্রাম ।
এখন আসা যাক, এএমআইই তে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময়, আপনি যেসকল কোর্স পড়ার সুযোগ পাবেন, সেগুলোর তালিকার দিকে নজর দেওয়া যাকঃ
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সেকশন-এ)
1. ENGINEERING MATHEMATICS (SEC. A)
2. PHYSICS (SEC. A)
3. BASIC FLUID MECHANICS (SEC. A)
4. ENGINEERING MECHANICS (SEC. A)
5. GEODESY (SEC. A)
6. STRENGTH OF MATERIALS (SEC. A)
7. ENGINEERING MATERIALS (SEC. A)
8. ENGINEERING DRAWING (CIVIL), SEC. A
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সেকশন-বি)
1. STRUCTURAL ANALYSIS (B, CIVIL)
2. FLUID MECHANICS & MACHINERIES (B, CIVIL & MECH)
3. STRUCTURAL DESIGN (B, CIVIL)
4. SOIL MECHANICS & FOUNDATION (B, CIVIL)
5. REINFORCED CONCRETE STRUCTURES (B, CIVIL)
6. HYDROLOGY (B, CIVIL)
7. COMPUTER FUNDAMENTALS (B, CIVIL, MECH, ELECT & CHE)
8. STEEL STRUCTURES (B, CIVIL)
9. IRRIGATION, FLOOD CONTROL & DRAINAGE (B, CIVIL)
10. HIGHWAY ENGINNERING (B, CIVIL)
11. SANITARY & WATER SUPPLY ENGINNERING (B, CIVIL)
12. TECHNIQUES AND MANAGEMENT OF BUILDING CONSTRUCTION (B, CIVIL)
# ৮ টি কোর্স নিতে পারবেন সেকশন - বি তে ।
বুঝতেই পারছেন, বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কোর্স আপনি পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এএমআইই তে যা, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়ে থাকে । যদি একজন কমপ্লিট সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হতে চান, তবে, এএমআইই পড়ার শুরু থেকেই প্রকৌশল জ্ঞানার্জনের দিকে খেয়াল রেখে প্রতি মাসে ১ টি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পড়ে শেষ করুন । আর সেজন্য বাজার থেকে সংশ্লিষ্ট ১ টি টেক্সটবই সংগ্রহ করে নিন, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিলেবাস ফলো করে পড়তে থাকুন, প্রতিদিন ঘণ্টা খানেক সময় । প্রতিদিনের এক ঘণ্টা সময় আপনার ক্যারিয়ারের পেছনে, একজন দক্ষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পেছনে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে !
ভাল থাকুন । দিনটা সকলের সুন্দর হোক ।
[পোস্টের তারিখ - ৩০ শে অক্টোবর ২০১৪]
A Guidebook of Engineering Mechanics
এর ৪র্থ সংস্করণ বের হলো আজ (০৫/১১/২০১৪)
১০৫০ পেজের গাইডবইটিতে ১৪০০+ গাণিতিক সমস্যার সমাধান প্রদান করা হয়েছে ষ্ট্যাণ্ডার্ড পদ্ধতিতে । সম্পূর্ণ বইতে অধ্যায় আছে ১০ টি, যেখান থেকে ১০০- ১৩০ মার্কস এর ১০ -১৩ টি গাণিতিক সমস্যা এএমআইই পরীক্ষায় কমন পড়বে বলে আশা করা যায় ।
বইটির আগের সংস্করণের অপ্রয়োজনীয় অংকসমূহ বাদ দেওয়া হয়েছে এবং শুধুমাত্র পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংকসমুহই সংযুক্ত করা হয়েছে ।
অধ্যায়ভিত্তিক, ধারাবাহিক অংক সমাধানের দিকে নজর রাখা হয়েছে, সম্পূর্ণ গাইডবইটিকে অধ্যায়ভিত্তিক ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় গাণিতিক সমস্যার সমধান প্রদান করা হয়েছে ।
আগের সংস্করনে লেখা ছিল অনেক ক্ষুদ্র, এই এডিশনে লেখার আকার বড় এবং পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে । তাই বইয়ের আকার বেড়ে গেছে ! চিত্র, স্পষ্ট, ঝকঝকে করা হয়েছে ।
গাইডবই-তে আলাদাভাবে বিগত বছরের প্রশ্নাবলী সমাধান করা দেওয়া হয়েছে । বিগতবছরের প্রশ্নাবলীর সমাধান, আলাদা পার্টে করা হয়েছে, মূল গাইডবইটিকে ষ্ট্যাণ্ডার্ড রূপ দেওয়ার জন্য ।
ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স এর সিলেবাস সংযুক্ত করা হয়েছে ।
সম্পূর্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স ৬০ দিনে শেষ করার "স্টাডি প্ল্যান" গাইডবই-এর শুরুতে সংযুক্ত করা হয়েছে ।
গাইডবই-এর প্রতিটি অধ্যায়ের শেষে সংযুক্ত হয়েছে অধ্যায়ভিত্তিক "মডেল টেস্টের প্রশ্নপত্র" !
সম্পূর্ণ গাইডবই-এর শেষে সংযুক্ত রয়েছে এএমআইই পরীক্ষার অনুরূপ ১০০ মার্কসের ১০ টি "মডেল টেস্টের প্রশ্নপত্র" ! ! !
গাইডবই-এর শেষের দিকে রয়েছে ৬০ দিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৬০ টি ক্লাসটেস্টের প্রশ্নপত্র !
গাইডবইতে রয়েছে সাম্প্রতিক এএমআইই পরীক্ষাসমূহের প্রশ্নপত্র ! ! !
[ সময়ের স্বল্পতা হেতু এবং বইয়ের কলেবর একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে রাখার স্বার্থে, প্রতিটি অধ্যায়ের উপর বাংলায় আলোচনা সংযুক্ত করা হয়নি । শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী, এবং পরামর্শ অনুযায়ী আগামী সংস্করনে বাংলা অংশ সংযুক্ত করা হতে পারে । আপনার মতামত থাকলে, লিখে পাঠান আমাদের ঠিকানায় ! ]
আগামী ০৬/১১/২০১৪ থেকে ২১/১১/২০১৪ তারিখ পর্যন্ত ১৫ দিন যাবত শুধুমাত্র "ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স" গাইডবই-এর ডিমান্ড জমা নেওয়া হবে, অন্য কোন গাইডবইয়ের ডিমান্ড জমা নেওয়া হবে না । ডিমান্ড জমা দেওয়ার জন্য এবং গাইডবই সংগ্রহের জন্য ফোন করুনঃ +88 01911 088 706 এই নাম্বারে বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৮ টার মধ্যে ।
আপনার গাইডবই যতদ্রুত সম্ভব পৌঁছে দেওয়ার জন্যই আমরা শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স এর ডিমান্ড জমা নিচ্ছি কারণ আমাদের রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমীর শিক্ষার্থীদের গাইডবই সরবরাহ করতে গিয়ে, বাইরের শিক্ষার্থীদের গাইডবই পেতে বিলম্বের সৃষ্টি হচ্ছে । এই সমস্যা দূরীকরণের জন্যই, শুধুমাত্র আগামী ১৫ দিন ১ টি বইয়ের ডিমান্ড জমা নেওয়া হচ্ছে । আশা করা যায়, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে গাইডবই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে ।
আপনার যেকোনো জিজ্ঞাসা জানাতে ফোন করুনঃ +88 01911 088 706
[পোস্টের তারিখ - ৫-ই নভেম্বর ২০১৪]
তারিখ - ০৬/১১/২০১৪
বাংলাদেশে প্রকৌশল শিক্ষার ইতিহাস
----------------------------------
বাংলাদেশে প্রকৌশল শিক্ষার ইতিহাস খুঁজলে ফিরে যেতে হয় ১৮৭৬ সালে যখন নীলগোলায় ঢাকা জরিপ স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি ভাড়া করা ইমারতে, ব্রিটিশ
ভারতে বাংলার সরকারের জন্য জরিপকারীদের প্রশিক্ষণের উদ্দেশে ঢাকা জরিপ বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। মুসলিম সমাজে শিক্ষাকে সহজতর এবং শিক্ষাবৃদ্ধির জন্য নওয়াব স্যার খাজা আহসানউল্লাহ এই প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণ, উন্নয়ন এবং মান উন্নত করার জন্য ১৯০৫ সালে ১ লক্ষ ১২ হাজার রূপি দান করেন। ১৯০৬ সালে সরকারি উদ্যোগে বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লা্হ হলের কাছে নিজস্ব বিদ্যালয় ভবন নির্মিত হয়। কয়েক বৎসর পূর্বেও এ স্থানে টিকে থাকা একটি লম্বা চিমনি প্রতিষ্ঠানটির সাক্ষ্য বহন করত। ১৯০৮ সালে আহসানউল্লাহর দানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিদ্যালয়টির পুর্ণ নামকরণ করা হয় আহসানউল্লাহ প্রকৌশল বিদ্যালয়। ১৯২০ সালে বিদ্যালয়টিকে আজকের
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে অবস্থিত সেখানে স্থানান্তরিত করা হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে বিদ্যালয়টি ঢাকা কলেজের অধিভুক্ত ছিল এবং পরে প্রতিষ্ঠানটিকে পরিচালক, গণনির্দেশনা বিভাগের অধীনে আনা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তৎকালীন
সরকার বাংলায় শিল্প উন্নয়নের জন্য ব্যাপক পরিসরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল, তবে তখন দক্ষ শ্রমশক্তির তীব্র ঘাটতি ছিল। এ অবস্থায় সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত একটি কমিটি ঢাকায় একটি প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করে। যার আসন সংখ্যা ১২০টি। যন্ত্র, তড়িৎ, রসায়ন এবং কৃষি প্রকৌশলে ৪ বৎসরের স্নাতক ডিগ্রি প্রদানের
কর্মসূচি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কমিটি আহসানউল্লাহ প্রকৌশল বিদ্যালয়কে তখনকার পলাশী ব্যারাক এলাকায় স্থানান্তর এবং পূর, যন্ত্র এবং তড়িৎ প্রকৌশলে ৩ বৎসরের ডিপ্লোমা কোর্সে ৪৮০ জন ছাত্রছাত্রীর ভর্তি অনুমোদন করে। ১৯৪৭ সালের অগাস্টে আহসানউল্লাহ প্রকৌশল বিদ্যালয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধীনে প্রকৌশল অনুষদ হিসেবে আহসানউল্লাহ প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়ে উন্নীত হয়
(অধুনা বি.ইউ.ই.টি)। প্রতিষ্ঠানটি দেশে প্রকৌশলির ক্রমবৃদ্ধিমান চাহিদা পূরণ
এবং প্রকৌশল শিক্ষার অগ্রসরতার জন্য সুযোগ সুবিধার সম্প্রসারণের উদ্দেশে পুর, তড়িৎ, যন্ত্র প্রকৌশলে চার বৎসরের স্নাতক কোর্স চালু করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রথম অধ্যক্ষ
হিসেবে হাকিম আলিকে নিযুক্ত করা হয়। ১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান সরকার প্রকৌশল
মহাবিদ্যালয়টিকে স্বীকৃতি প্রদান করে এবং পুর, যন্ত্র, তড়িৎ, রসায়ন, কৃষি এবং বস্ত্র প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি প্রদান ও পুর, যন্ত্র ও তড়িৎ প্রকৌশলে ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রদান
অনুমোদন করে। শেষাবধি বস্ত্র ও কৃষি প্রকৌশলের পরিবর্তে ধাতুবিদ্যাগত প্রকৌশল বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর মধ্যে ১৯৫১ সালে মি. টি.এইচ ম্যাথুম্যান এবং ১৯৫৪ সালে এম.এ রশীদ প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৫৬ সালে আহসাউল্লাহ প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় নতুন কোর্স শিক্ষাক্রম এবং অর্ধ বর্ষব্যাপী পাঠক্রম পদ্ধতি প্রবর্তন করে। ১৯৫৭ সালে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির আসন সংখ্যা ১২০ থেকে ২৪০ এ
বৃদ্ধি করা হয় এবং ১৯৫৮ সাল থেকে ডিপ্লোমা কোর্স বন্ধ করে দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের
‘টেক্সাস এ এন্ড এম কলেজের’ সাথে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা সম্পর্কিত যোগাযোগ
প্রতিষ্ঠিত হয়। টেক্সাস থেকে একাধিক শিক্ষক এখানে এসেছিলেন এবং তাঁরা শিক্ষাদান, পরীক্ষাগারের উন্নয়ন এবং কোর্স পাঠক্রমের মনোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এখানকার কয়েকজন শিক্ষককে ‘টেক্সাস এএন্ডএম’ কলেজে পাঠান হয় স্নাতকোত্তর
পর্যায়ে অধ্যয়নের জন্য। এশিয়া ফাউন্ডেশন প্রয়োজনীয় পাঠ্যপুস্তক দান করে এবং বই
ভাড়া দেয়ার গ্রন্থাগার পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়ন এবং গবেষণার
সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে আহসানউল্লাহ প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়কে ১৯৬২ সালের ১লা জুনে পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয। এম.এ রশিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য নিযুক্ত হন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার
পরে, এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির পাঁচটি অনুষদের অধীনে ষোলটি বিভাগে শিক্ষাদান
কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মানবিক বিভাগ ব্যতীত সকল বিভাগের ডিগ্রি প্রদান কার্যক্রম রয়েছে, অবশ্য এ বিভাগ সমূহের কোন কোনটি শুধুমাত্র স্নাতকোত্তর
ডিগ্রি প্রদান করে। প্রকৌশল শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির জন্য দেশের অন্যান্য অঞ্চলসমূহে প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ষাটের দশকের প্রথম দিকে রাজশাহী ও
চট্টগ্রামে দুটি প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় পুর, যন্ত্র ও তড়িৎ প্রকৌশলে ৪ বৎসরের স্নাতক ডিগ্রি প্রদানের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। রাজশাহী প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীর প্রথম দলটি ১৯৬৪ সালে শিক্ষাগ্রহণ শুরু করেছিল এবং ১৯৬৮ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিল। সত্তর দশকের মধ্য ভাগে খুলনা প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। শুধামাত্র পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ৩ বৎসরের ডিপ্লোমা অর্জনকারী ছাত্র/ ছাত্রীদের জন্য সাড়ে তিন বৎসরের স্নাতক শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে অপর একটি প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় গাজীপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়গুলি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। আশির দশকের প্রথমদিকে চারটি প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়ের সবকটিই ডিগ্রি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় এবং প্রতিষ্ঠানের সমূহের নামেরও নিম্নরূপ পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনলজি, রাজশাহী; বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট
অব টেকনোলজি, চট্টগ্রাম; বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, খুলনা এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, ঢাকা। প্রকৌশল শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে সরকার ২০০৩ সালে বাংলাদেশে চারটি টেকনোলজি ইনস্টিটিউটকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করে। এদের নামকরণ হয় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চিটাগাং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা প্রকৌশল ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯০ এর দশকে বাংলাদেশে প্রকৌশল শিক্ষার বৃদ্ধি ধীর গতিতে ঘটেছে। সে সময় বাংলাদেশে বেসরকারি উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে এবং এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক, বেশ কিছু প্রকৌশল ক্ষেত্রে ডিগ্রি প্রদান করছে।
বাংলাদেশ সরকার প্রকৌশল শিক্ষা সম্প্রসারনের জন্য, প্রকৌশল কলেজ চালু করেছে ময়মনসিংহ এবং সিলেটে । এছাড়া নতুন বেশ কিছু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে । একই সাথে দেশের বিভাগীয় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে (খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর বিভাগ) ) বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং চালু করা করা হয়েছে ।
প্রকৌশল শিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রকৌশল শিক্ষা কার্যক্রম চালু হচ্ছে প্রতিনিয়তই, বিষয়ে আসছে নতুনত্ব । বহুল প্রচলিত বিষয়সমূহের উপর প্রকৌশল শিক্ষাদানের পাশাপাশি, নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মতো প্রকৌশল শিক্ষা চালু হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে ।
[পোস্টের তারিখ - ০৬/১১/২০১৪]
এক ঈগল একবার বনমুরগীর বাসায় ডিম পেড়ে গেল।। বনমুরগী ডিমে তা দিল।।
একদিন ডিম ফুটে বাচ্চা বের হলো।। ঈগলের বাচ্চাটি বনমুরগীর বাচ্চা হিসেবে পালিত হতে লাগল।। তার স্বভাবও হয়ে উঠল মুরগীর মত।। বনমুরগীর মত ডাকে এবং উড়তেও পারে না।।
একদিন সে দেখল আকাশে ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছে ঈগল।। সে বিস্ময়ের সাথে প্রশ্ন করল,
এটা কি??
বনমুরগীরা উত্তর দিল, ওটা ঈগল।। অসাধারন পাখি।। তুমি ওর মত দেখতে হলেও তুমি বনমুরগী হয়ে গেছো।। ওর মত কখনো হতে পারবে না।।
ঈগলের বাচ্চা এই কথা বিশ্বাস করে কোন দিন উড়ার চেষ্টাও করল না।। এভাবেই সে কাটিয়ে দিল তার পুরোটা জীবন।। একসময় তার মৃত্যু হল।। সে জানতেও পারল না তার জন্ম হয়েছিলো আকাশের উঁচুতে উড়ার জন্য, আকাশকে শাসন করার
জন্য!!
অধিকাংশ মানুষই এরকম।। অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় কিন্তু বেশীরভাগই তা কাজে লাগাতে পারে না।। নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে যখন মানুষ জানতে পারে, তখন তার কাছে অসাধ্য বা অসম্ভব বলে কিছুই থাকে না !
অধিকাংশ এএমাআইই শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে, অনেকাংশে এরকমটাই ঘটে থাকে । গল্পের বনমুরগীর দলের সাথে থেকে থেকে ঈগলের বাচ্চা হয়েও আকাশে ওড়ার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে, আর চোখের সামনে আকাশে ওরা ঈগলদের দেখে বিস্ময় প্রকাশ করছে !
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী ডুয়েটে চান্স পায়, তাদেরকে দেখেও ঠিক এমনটাই ঘটে ! বিস্ময় ! ছেলেটা ডুয়েটে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, ৪ বছর পর "Engineer" হয়ে পরিবার, বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবে, সমাজ তাকে নিয়ে গর্ব করবে, আর চান্স না পাওয়া শিক্ষার্থী শুধু বিস্ময় প্রকাশ করবে ! তার মধ্যেও যে, "Engineer" হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে, সেই সম্পর্কে সে অজ্ঞাত অথবা সন্দিহান ! একটি ২-৩ ঘণ্টার পরীক্ষায় মেধা যাচাই সম্ভব নয় ! তাই ২-৩ ঘণ্টার ভর্তি পরীক্ষায় ডুয়েটে চান্স পাননি বলে, আপনি "Engineer" হওয়ার যোগ্য নন, এমন ভাবনা কি যৌক্তিক ! ?
তাহলে, আপনার মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার যোগ্যতা আছে কিনা, সেটা বুঝবেন কি করে
বনমুরগীর দলে থেকে, ঈগল কি কখনো উপলব্ধি করতে পারবে, যে সে ঈগল, আকাশের অনেক উঁচুতে ওড়ার জন্যই তার জন্ম ? ? তাই, তাকে সর্বপ্রথম বনমুরগীর দল ত্যাগ করতে হবে, আকাশের ওড়ার চেষ্টা করতে হবে, প্রথম প্রথম হোঁচট খেলেও, অনেক বেশি চেষ্টা করলে, একসময় ঠিকই সে, আকাশের অনেক উঁচুতে উড়তে সক্ষম হবে !
ঠিক তেমনি, সর্বপ্রথম আপনাকে হতাশাগ্রস্থদের দল ত্যাগ করতে হবে, তারপর, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শুরু করতে হবে । প্রথম প্রথম, বুঝতে কষ্ট হলেও, অনেক বেশি পড়াশুনা করতে থাকলে, একসময় ঠিকই নিজেকে "Engineer" হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন । ডুয়েটে চান্স না পেলে, উচ্চমানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চেষ্টা করুন, সামর্থ্যে না কুলালে, ভর্তি হন A.M.I.E - তে । ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে শুরু করলেই আপনি বুঝতে পারবেন, "Engineer" হওয়ার যোগ্যতা আপনার আছে কিনা !
চীনে একধরনের বাঁশগাছ আছে,যখন বীজ বপন করা হয় এর পরবর্তী চার বছর পর্যন্ত গাছের বৃদ্ধি হয় মাত্র তিন থেকে পাঁচ ইঞ্ছি যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে,আর সেই পরিচর্যার যদি কোন কমতি না হয়,তাহলে_
পঞ্চম বছরে বাঁশগাছের বৃদ্ধি হয় প্রায় ৮০ ফুট পর্যন্ত_ যেটা কিনা বাঁশগাছের চাষ থেকে সর্বোচ্চ প্রফিট্যাবল ফলন।
ধরুন যাদের এই বিশেষ ধরনের বাঁশগাছের বীজ সম্পর্কে জানাশোনা নাই তাদের যদি এই বীজ দিয়ে আপনি চাষ করতে বলেন,তারা নিঃসন্দেহে চার বছরের মধ্যেই অঙ্কুরে বিনষ্ট করবে তাদের শ্রম এবং আপকামিং প্রফিট্যাবল ফলন তাদের স্পেসিফিক স্টাডি এবং জ্ঞানের অভাবে।
এএমআইই পড়াশুনা আর চীনের এই বিশেষ প্রজাতির বাঁশগাছ চাষের মধ্যে কি খুব একটা ফারাক আছে ? প্রথম ৪ বছরে এএমআইই স্টুডেন্ট অধিকাংশেরই গড়ে ৩-৫ টি সাবজেক্টে পাশ হয় ! পরের এক বা দেড়বছরেই ১১-১৩ টি সাবজেক্ট পাশ করে ~! প্রথম ২-৩ বছরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনা বুঝে উঠতেই কেমনে যেন পাড় হয়ে যায়, প্রথম বার পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে পাশ করা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা খুবই কম । কিন্তু, প্রথম দিকের এই দীর্ঘ সময়ের পড়াশুনা কি সত্যিই বৃথা ? চীনের বাঁশগাছের ক্ষেত্রে যেমন প্রথম ৩-৪ বছর বৃদ্ধি দেখা যায় খুবই সামান্য, ঠিক তেমনি, এএমআইই শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রথম ৩-৪ বছরে পাশের দেখা মেলে খুবই কম সংখ্যকের ! কিন্তু ৩-৪ বছরের লেখাপড়াই যে ভিত তৈরি হয়, সেই ভিতের উপরে দাড়িয়েই পরের ১ বা দেড় বছরেই বেশ ভাল রেজাল্ট নিয়েই ১১-১৩ টি সাবজেক্ট পাশ করে এএমআইই কমপ্লিট করা সম্ভব হয়! ! আপনি এএমআইই পড়ছেন, অনেক পড়াশুনা করার পরও পাশ করতে পারছেন না, তো কি হয়েছে ? চীনের বাঁশগাছ যেমন তার শিকড়ে ৩-৪ বছর ধরে শক্তি সঞ্চয় করে পরের ১ বছরে খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তেমনি আপনি জ্ঞান সঞ্চিত করুন ৩-৪ বছর ধরে, যার ফলশ্রুতিতে, পরের এক বা দেড় বছরেই আপনার এএমআইই কমপ্লিট হবে । শুধুমাত্র অঙ্কুরেই বিনষ্ট করবেন না আপনার আশা কে, আপনার পরিশ্রমকে, আপনার স্বপ্নকে ।
[পোস্টের তারিখ - ২৯/০৯/২০১৪]
বিসিএস পরীক্ষায় সহকারী প্রকৌশলী পদে আবেদনের সুযোগ পেয়ে থাকেন একজন এএমআইই (সেকশন-এ এবং বি) পাশ প্রকৌশলী !
বিসিএস (গণপূর্ত) ক্যাডারঃ
বিসিএস (গণপূর্ত) ক্যাডারে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) এবং সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম ), পদে যোগ দিতে পারবেন একজন এএমআইই পাশ করা প্রকৌশলী ।
বিসিএস (রেলওয়ে প্রকৌশল) ক্যাডারঃ
বিসিএস (রেলওয়ে প্রকৌশল) ক্যাডারে সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী, সহঃসংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক,পদে যোগ দিতে পারবেন একজন এএমআইই পাশ করা প্রকৌশলী ।
বিসিএস (সড়ক ও জনপথ) ক্যাডারঃ
বিসিএস (সড়ক ও জনপথ) ক্যাডারে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল), সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) পদে যোগ দিতে পারবেন একজন এএমআইই পাশ করা প্রকৌশলী ।
মনের মধ্যে কিছু সংশয়, কিছু উদ্বিগ্নতা কাজ করছে, কিছু প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি মারছে ?
১. অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেসকল প্রকৌশলীরা বের হচ্ছে, তাদের কাছে কি টিকবে এএমআইই প্রকৌশলীরা
উত্তরঃ আপনি কি জানেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী প্রতি বছর বিসিএস ক্যাডার হিসেবে সরকারী চাকুরীতে যোগ দিচ্ছেন ? !!! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সরকারী সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিসিএসে সফলতার হার বেশি !! কেন ? কারণ, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমীক পড়াশুনার যে চাপ থাকে, সেই চাপ সামলে, বিসিএস-এর প্রস্তুতি নেওয়ার সময় খুব কম থাকে, তাই, অনেকটা প্রস্তুতিবিহীন বা কম প্রস্তুতি নিয়েই পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে থাকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা ,। সেই তুলনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স সংখ্যা কম থাকা, দীর্ঘ সময় পর পরীক্ষা হওয়া, সেশন-জট ইত্যাদি কারনে, বেশ লম্বা সময় ফাঁকা থাকে তাদের একাডেমিক ৪ বছরে ! এই সময়টা কাজে লাগিয়েই তারা অন্যদের তুলনায় গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর তুলনামূলক কমসময়ে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে থাকে ।
এএম আইই পাশ প্রকৌশলীদের ক্ষেত্রেও একই বার !!! বুয়েটের শিক্ষার্থী তার শিক্ষাজীবনের ৪ বছরে ৪০ টি থিওরি কোর্স, ২৩ টি ল্যাব কোর্স, প্রোজেক্ট - থিসিস, ভাইভা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং নিয়ে এতো ব্যস্ত সময় পার করে যে, বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া তার কাছে রীতিমত অসম্ভব ! আর একজন এএমআইই প্রকৌশলী মাত্র ১৬ টি কোর্স পড়ে, তার হাতে তাই বিসিএস এর প্রস্তুতির জন্য থাকে অগাধ সময় ! সময়কে কাজে লাগাতে পারলে, এএমআইই পড়াশুনার পাশাপাশি তার বিসিএস এর প্রস্তুতি নেওয়া খুব ভালভাবেই সম্ভব এবং বুয়েটের শিক্ষার্থীর তুলনায় অনেক ভাল করা সম্ভব !
২. প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ইঞ্জিনিয়ার তো অনেক কোর্স পড়ে, অনেক কিছু জানে, সেই তুলনায় এএমআইই ইঞ্জিনিয়ার তো খুব বেশি কিছু জানে না, তাহলে বিসিএস পরীক্ষায় সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে উত্তীর্ণ হওয়া কি সম্ভব ?
উত্তরঃ বেশ ভালোভাবেই সম্ভব ! বিসিএস পরীক্ষায় মাত্র ২০০ মার্কস থাকে যে বিষয়ের উপর আপনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন, সেই বিষয়ের উপর ! অর্থাৎ আপনি যদি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে থাকেন, তাহলে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর মাত্র ২০০ মার্কস এর লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে । আর এই ২০০ মার্কস যেসকল বিষয়বস্তুর উপর হয়ে থাকে, সেগুলো যেমন বুয়েটে পড়ানো হয়, তেমনি, এএমআইই তেও পড়তে হয় ! অতএব, এখানে এএমআইই ইঞ্জিনিয়ার এবং বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই !
৩. লিখিত পরীক্ষার বাকি ৯০০ মার্কস তাহলে যেসকল বিষয়ের উপর আসবে, সেগুলো কি ইঞ্জিনিয়ারিং রিলেটেড না ?
উত্তরঃ না ! বাকি ৯০০ মার্কস সম্পূর্ণ আলাদা ! ইঞ্জিনিয়ারিং এর কিছুই নেই ! ইঞ্জিনিয়ারিং এর বাইরের বিষয়বস্তু সব কিছু ! এখানেই একজন এএমআইই ইঞ্জিনিয়ার বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ে এগিয়ে ! কারণ বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারের বাড়তি সময় নেই, এসকল বাড়তি ৯০০ মার্কসের প্রস্তুতি তার একাদেমিক লাইফে নেওয়ার ! কিন্তু একজন এএমআইই ইঞ্জিনিয়ারের হাতে অগাধ সময় !
৪. প্রিলিমিনারিতে যে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা হয়ে থাকে, সেটাতে বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারের তুলনায় এএমআইই ইঞ্জিনিয়ার কি ভাল করতে পারবে ?
উত্তরঃ এটা নির্ভর করবে পড়াশুনার উপর । এখানেও একই ব্যাপার, ১৬ টি কোর্স পড়ার পাশাপাশি বিসিএসের প্রস্তুতি নিলে, একজন এএমআইই ইঞ্জিনিয়ার পাশ করার পরপরই বিসিএস পরীক্ষা দিলেও বুয়েটের সদ্য পাশ করা প্রকৌশলীর তুলনায় তার ভাল করার সম্ভাবনা বেশি !
৫. বিসিএস পরীক্ষা যে প্যাটার্ন, তাতে বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ে এএমআইই ইঞ্জিনিয়ার ভাল করার সম্ভাবনা বেশি যদি হয়েই থাকে, তাহলে, কেন এএমআইই ইঞ্জিনিয়াররা বেশি সংখ্যক বিসিএস ক্যাডার হতে পারছে না ?
উত্তরঃ যথাযথ পরিকল্পনা এবং দিকনির্দেশনার অভাব ! এএমআইই পড়াশুনা শুরুর দিন থেকেই যদি একজন শিক্ষার্থীর বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন থাকে এবং সেই অনুযায়ী যথাযথ দিকনির্দেশনা এবং পরিকল্পনা সহকারে পড়াশুনা করে, তাহলে, বিসিএস ক্যাডার হিসেবে সে একজন সরকারী ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে বলে আশা করা যায় ।
৬. রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমী - এ ব্যাপারে কিভাবে সহযোগিতা করবে ?
উত্তরঃ গোল্ডেন ব্যাচ এবং স্পেশাল ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জন্য বিসিএস প্রস্তুতি ব্যাচ শুরু করতে যাচ্ছে রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমী ! শুধু এএমআইই পাশ করা নয়, এএমআইই পাশের পর ভাল চাকুরী এবং ভাল ক্যারিয়ার যেন গড়ে তুলতে পারে একজন এএমআইই প্রকৌশলী সেদিকে সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখছে রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমী এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছে ।
৭. তাহলে এখন আমার করনীয় কি ?
উত্তরঃ রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমী-তে মেধাবী পরিবারের একজন সদস্য হোন, নিজেকে কম সময়ে প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি একটি সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ে তুলুন ।