List of Engineers Passed in Oct-14 Term
List of Civil Engineers Passed in Oct-14 Term
Engr, Md. Al Amin
Engr, Md. Monjur Ahmed
Engr, Goutam Kumar Saha
Engr, Md. Motiar Rahman
Engr, Sayed Masud Iqbal
Engr, Muhammed Abdul Quiyum
Engr, Md. Nuruzzaman
Engr, Md. Mizanur Rahman
Engr, Md. Samayun Hossain
List of Mechanical Engineers Passed in Oct-14 Term
Engr, Mohammad Mahfuzur Rahman
Engr, Pronob Sarker
Engr, Abdul Karim
List of Electrical Engineers Passed in Oct-14 Term
Engr, Md. Jamal Ullah
Engr, Md. Bazlur Rahman Akand
Engr, Md. Babul Miah
Engr, Md. Billal Hossain
Engr, Md. Ismail
Engr, Md. Shaharia Alam
Engr, Md. Mezanur Rahman
Engr, Farhana Sultana
Engr, Abu Jafor Md. Saleh
Engr, Tranay Kumar Datta
Engr, Jannat Ara Tamanna
Engr, Md. Ahadul Islam
Engr, Md. Kabir Hossain
Engr, Shamsul Huda
Engr, Farhana Binte Ashraf
Engr, Sayed Ataul Goni
Engr, Al Mamun
Engr, Md. Kamruzzaman
Engr, Md. Al Mamun Reja
List of Chemical Engineers Passed in Oct-14 Term
Engr, Md. Sarfaraz Newaz
Engr, Md. Sakhawat Hossain
এএমআইই পাশ করা কঠিন, রেজাল্ট ভাল করা কঠিন !
আজ পর্যন্ত আমার অধিকাংশ লেখায় এএমআইই-র পজিটিভ দিক তুলে ধরা হয়েছে । সাম্প্রতিক রেজাল্ট বিশ্লেষণে চলুন আজ দেখা যাক, কিছু নেগেটিভ দিক !
১। সারা বাংলাদেশ থেকে অক্টোবর-২০১৪ টার্মের পরীক্ষায় ৩১ জন শিক্ষার্থী এএমআইই(সেকশন-এ এবং বি) পাশ করেছে, যার মধ্যে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ১৯ জন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ৯ জন এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ৩ জন ! নেগেটিভ দিক হলো, ৩১ জনের মধ্যে ফার্স্ট ক্লাস (জিপিএ ৩.০০ বা তার অধিক) পেয়েছে মাত্র ২ জন আর সেকেন্ড ক্লাস (জিপিএ ২.৭৫ থেকে জিপিএ ২.৯৯ পর্যন্ত) পেয়েছে মাত্র ৫ জন ! বাকি ২৪ জন থার্ড ক্লাস ! ! !
অর্থাৎ প্রতি ১০০ জনে প্রায় ৭৭ জন এএমআইই প্রকৌশলী থার্ড ক্লাস পেয়ে এএমআইই পাশ করে থাকেন !
২। সারা বাংলাদেশ থেকে অক্টোবর-২০১৪ টার্মের পরীক্ষায় ৪৪ জন শিক্ষার্থী এএমআইই(সেকশন-এ) পাশ করেছে, যার মধ্যে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ১৭ জন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ২০ জন এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ৭ জন ! নেগেটিভ দিক হলো, ৩১ জনের মধ্যে ফার্স্ট ক্লাস (জিপিএ ৩.০০ বা তার অধিক) কেউ পায়নি আর সেকেন্ড ক্লাস (জিপিএ ২.৭৫ থেকে জিপিএ ২.৯৯ পর্যন্ত) পেয়েছে মাত্র ৪ জন ! বাকি ৪০ জন থার্ড ক্লাস ! ! !
অর্থাৎ প্রতি ১০০ জনে প্রায় ৯১ জন এএমআইই শিক্ষার্থী থার্ড ক্লাস পেয়ে সেকশন-এ পাশ করে থাকেন !
এবার আসা যাক, কোর্সভিত্তিক উপসংহারঃ
১। আবশ্যিক চারটি কোর্সে পাশের সংখ্যা – ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাথমেটিক্স – ১৭০ জন, ফিজিক্স – ১০৮ জন, ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স-৬৬ জন এবং বেসিক ফ্লুয়িড মেকানিক্স – ৪৪ জন ! তার মানে দাঁড়াচ্ছে, প্রচুর সংখ্যক শিক্ষার্থী আবশ্যিক ৪টি কোর্সে পাশ করছে মোট পাশ করা এএমআইই শিক্ষার্থীদের তুলনায় (অক্টোবর -২০১৪ টার্মে মাত্র ৩১ জন এবং এপ্রিল-২০১৪ টার্মে মাত্র ৩৬ জন) ! নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যে, যেসকল কোর্সে পাশের সংখ্যা বেশি সেগুলোর উপর প্রস্তুতি নেওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য ভাল, কারণ, তাতে পাশের সম্ভাবনা বেড়ে যায় । কোন শিক্ষার্থী নতুন ভর্তি হয়ে যদি বারবার ফেল করতে থাকে, তবে, মানসিকভাবে সে ভেঙে পড়ে এবং ফলশ্রুতিতে এএমআইই ছেড়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় নিশ্চিত একটি সার্টিফিকেটের আশায় । কিন্তু কেউ যদি ৪টি কোর্সে পাশ করে যায় কোনভাবে , তবে, সে কখনোই এএমআইই ছেড়ে দেবে বলেই আমার বিশ্বাস ।
২। শিক্ষার্থী পাশের সংখ্যার দিক থেকে সেরা ১০ টি কোর্সের নামঃ
ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাথমেটিক্স – ১৭০ জন
এলিমেন্টারি ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং – ১৩২ জন
ফিজিক্স – ১০৮ জন
ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালস – ৯৮ জন
ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক্স – ৬৬ জন
বেসিক ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং – ৫৩ জন
প্রোপার্টিজ এন্ড মেকানিক্স অফ ম্যাটেরিয়ালস – ৫২ জন
এলিমেন্টারি ইলেক্ট্রনিক্স – ৫১ জন
বেসিক ফ্লুয়িড মেকানিক্স – ৪৪ জন
স্ট্রেংথ অফ ম্যাটেরিয়ালস – ৪১ জন ।
যেহেতু এই ১০ টি কোর্সে প্রচুর সংখ্যক শিক্ষার্থী পাশ করছে, তাই, প্রথমবার ফর্মফিলাপের সময় অবশ্যই এই ১০ টি কোর্স থেকে বেছে নিতে হবে শিক্ষার্থীকে । তাহলে, আশা করা যায়, বারবার ফেল করার মানসিক যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে পারেন ।
আরেকটি নেগেটিভ দিক নিয়ে আলোচনা করা যাক !
বাংলাদেশে কি পরিমাণ শিক্ষার্থী প্রতি কোর্সে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে, এবং বারবার ফেল করছে, সেটা শুনলে চমকে উঠবেন! আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেন,
এএমআইই তে পাসের হার কত ?
চলুন, পাশের হার দেখে নেওয়া যাক !
প্রতি সেমিস্টারে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে গড়ে প্রায় ২১০০ থেকে ২২০০ জন যার মধ্যে প্রতিনিয়ত যেসকল শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফর্মফিলাপ করছে, তাদের সংখ্যা দেখে নেওয়া যাক !
সর্বশেষ অক্টোবর ২০১৪ টার্মের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় ১৮৮১ জন শিক্ষার্থী, এবং প্রায় ২০২৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল এপ্রিল – ২০১৪ টার্মে । অক্টোবর টার্মে সম্পূর্ণ এএমআইই কমপ্লিট করে প্রকৌশলী হয়েছেন মাত্র ৩১ জন, এপ্রিল-২০১৪ টার্মে প্রকৌশলী হয়েছে ৩৬ জন ।
২০১৪ সালে ১৮৮১ + ২০২৯ = ৩৯১০ জনে পাশ করেছে মাত্র ৬৭ জন !
তাহলে, আপনিই বলুন, শতকরা পাশের হার কত ? ১.৭১% ! ! !
অর্থাৎ প্রতি ১০০ জনে প্রায় ২ জন শিক্ষার্থী এএমআইই পাশ করে থাকে !
আমি পরিসংখ্যানে বিশ্বাসী নয়, বিগত ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ চার বছরে অনুষ্ঠিত ৮টি পরীক্ষায় ১৮৮ জন এএমআইই প্রকৌশলী বের হয়েছে, যে আগামী চার বছরের আটটি পরীক্ষায় ১৮৮ জন বা তার কাছাকাছি পাশ করবে, তেমনটা কখনোই নয় ! বাংলাদেশে যে প্রচুর পরিমাণ শিক্ষার্থী এএমআইই তে ভর্তি হয়, তাদের মধ্যে অন্তত ৪০০-৫০০ জন শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে যারা ডুয়েটে পড়ার যোগ্য ! কিন্তু দুর্ভাগ্য আর ফাঁকিবাজি-র কারনে, তাদের দুর্গতি ~! ক্লাসবিহীন, দিকনির্দেশনাবিহীন এক পরীক্ষা ব্যবস্থায় পরীক্ষা দিতে গিয়ে নাজেহাল ! ফেলের ছড়াছড়ি !
আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি, এএমআইই তে ভর্তি হওয়া মেধাবীদেরকে যদি শুরু থেকেই সঠিকভাবে নার্সিং করা যায়, প্রকৃত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রক্রিয়া শিখিয়ে দেওয়া যায়, তবে, পাশের হার ২% থেকে ২০% হতে খুব বেশি দিন লাগবে না ! প্রতি সেমিস্টারে ৩০-৩৫ জনের জায়গায় হয়তো এএমআইই কমপ্লিট করতে ৯০-১০০ জন ! কিন্তু, আমি দেখেছি, অধিকাংশ শিক্ষার্থী ফর্মফিলাপের পর, রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমীর সাথে যোগাযোগ করে ক্লাস করার জন্য ! রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমীতে নতুন শিক্ষার্থীদের প্রথম সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হয় ১-লা মার্চ এবং ১-লা সেপ্টেম্বর, কিন্তু অধিকাংশই যোগাযোগ করে ফেব্রুয়ারি এবং আগস্ট মাসে, ফর্ম ফিলাপের পর ! ২ মাসে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দেবে ! ৬ মাসের পড়া ২ মাসে পড়ে পরীক্ষায় পাশ করে যাবে, এমনটা হলে তো ভালোই হতো ! দুই এক জন হয়তো পার পেয়ে যায়, কিন্তু অধিকাংশই ধরা খায় ! এক কোর্সে ৩-৪ বার পরীক্ষায় ফেল করে, একটি কোর্সে ২৪০০-৩২০০ টাকা নষ্ট করে শুধু ফর্ম ফিলাপ করেই !
যায় হোক, মোদ্দা কথা হলো, কোন শিক্ষার্থী যদি টানা ৬ মাস ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে তারপর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, তবে, তার খারাপ করার কোনই কারন নেই !
এএমআইই রেজাল্ট খারাপ হওয়ার কারণ হিসেবে অনেকেই বলে, ক্লাস না থাকা, ভাল শিক্ষক না থাকা, প্রশ্ন কঠিন হওয়া, পড়াশুনার অভাব, অল্প পড়ে পাশ করার চিন্তা, প্রশ্নভিত্তিক পড়াশুনা করা, টেক্সটবই না পড়া, পড়াশুনার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে বুঝে উঠতে না পারা, সেমিস্টারের শুরু থেকে পড়াশুনা এবং কোচিং শুরু না করা, প্রস্তুতি না নিয়েই ফর্মফিলাপ করা, ১ ঘণ্টার মধ্যে হল থেকে বের হওয়া, পরীক্ষাকে সিরিয়াসভাবে না নেওয়া ! আপনার কি মনে হয়? লিখে ফেলুন ঝটপট কমেন্টে !
|