বিসিএস (গণপূর্ত) ক্যাডারঃ
--------------------------------
বিসিএস (গণপূর্ত) ক্যাডারে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) এবং সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম ), পদে যোগ দিতে পারবেন একজন এএমআইই পাশ করা প্রকৌশলী ।
বিসিএস (রেলওয়ে প্রকৌশল) ক্যাডারঃ
----------------------------------------------
বিসিএস (রেলওয়ে প্রকৌশল) ক্যাডারে সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী, সহঃসংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক,পদে যোগ দিতে পারবেন একজন এএমআইই পাশ করা প্রকৌশলী ।
বিসিএস (সড়ক ও জনপথ) ক্যাডারঃ
-------------------------------------------
বিসিএস (সড়ক ও জনপথ) ক্যাডারে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল), সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) পদে যোগ দিতে পারবেন একজন এএমআইই পাশ করা প্রকৌশলী ।
মনের মধ্যে কিছু সংশয়, কিছু উদ্বিগ্নতা কাজ করছে, কিছু প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি মারছে ?
১. অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেসকল প্রকৌশলীরা বের হচ্ছে, তাদের কাছে কি টিকবে এএমআইই প্রকৌশলীরা
উত্তরঃ আপনি কি জানেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী প্রতি বছর বিসিএস ক্যাডার হিসেবে সরকারী চাকুরীতে যোগ দিচ্ছেন ? !!! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সরকারী সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিসিএসে সফলতার হার বেশি !! কেন ? কারণ, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমীক পড়াশুনার যে চাপ থাকে, সেই চাপ সামলে, বিসিএস-এর প্রস্তুতি নেওয়ার সময় খুব কম থাকে, তাই, অনেকটা প্রস্তুতিবিহীন বা কম প্রস্তুতি নিয়েই পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে থাকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা ,। সেই তুলনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স সংখ্যা কম থাকা, দীর্ঘ সময় পর পরীক্ষা হওয়া, সেশন-জট ইত্যাদি কারনে, বেশ লম্বা সময় ফাঁকা থাকে তাদের একাডেমিক ৪ বছরে ! এই সময়টা কাজে লাগিয়েই তারা অন্যদের তুলনায় গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর তুলনামূলক কমসময়ে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে থাকে ।
এএমআইই পাশ প্রকৌশলীদের ক্ষেত্রেও একই বার !!! বুয়েটের শিক্ষার্থী তার শিক্ষাজীবনের ৪ বছরে ৪০ টি থিওরি কোর্স, ২৩ টি ল্যাব কোর্স, প্রোজেক্ট - থিসিস, ভাইভা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং নিয়ে এতো ব্যস্ত সময় পার করে যে, বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া তার কাছে রীতিমত অসম্ভব ! আর একজন এএমআইই প্রকৌশলী মাত্র ১৬ টি কোর্স পড়ে, তার হাতে তাই বিসিএস এর প্রস্তুতির জন্য থাকে অগাধ সময় ! সময়কে কাজে লাগাতে পারলে, এএমআইই পড়াশুনার পাশাপাশি তার বিসিএস এর প্রস্তুতি নেওয়া খুব ভালভাবেই সম্ভব এবং বুয়েটের শিক্ষার্থীর তুলনায় অনেক ভাল করা সম্ভব !
২. প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ইঞ্জিনিয়ার তো অনেক কোর্স পড়ে, অনেক কিছু জানে, সেই তুলনায় এএমআইই ইঞ্জিনিয়ার তো খুব বেশি কিছু জানে না, তাহলে বিসিএস পরীক্ষায় সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে উত্তীর্ণ হওয়া কি সম্ভব ?
উত্তরঃ বেশ ভালোভাবেই সম্ভব ! বিসিএস পরীক্ষায় মাত্র ২০০ মার্কস থাকে যে বিষয়ের উপর আপনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন, সেই বিষয়ের উপর ! অর্থাৎ আপনি যদি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে থাকেন, তাহলে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর মাত্র ২০০ মার্কস এর লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে । আর এই ২০০ মার্কস যেসকল বিষয়বস্তুর উপর হয়ে থাকে, সেগুলো যেমন বুয়েটে পড়ানো হয়, তেমনি, এএমআইই তেও পড়তে হয় ! অতএব, এখানে এএমআইই ইঞ্জিনিয়ার এবং বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই !
৩. লিখিত পরীক্ষার বাকি ৯০০ মার্কস তাহলে যেসকল বিষয়ের উপর আসবে, সেগুলো কি ইঞ্জিনিয়ারিং রিলেটেড না ?
উত্তরঃ না ! বাকি ৯০০ মার্কস সম্পূর্ণ আলাদা ! ইঞ্জিনিয়ারিং এর কিছুই নেই ! ইঞ্জিনিয়ারিং এর বাইরের বিষয়বস্তু সব কিছু ! এখানেই একজন এএমআইই ইঞ্জিনিয়ার বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ে এগিয়ে ! কারণ বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারের বাড়তি সময় নেই, এসকল বাড়তি ৯০০ মার্কসের প্রস্তুতি তার একাদেমিক লাইফে নেওয়ার ! কিন্তু একজন এএমআইই ইঞ্জিনিয়ারের হাতে অগাধ সময় !
৪. প্রিলিমিনারিতে যে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা হয়ে থাকে, সেটাতে বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারের তুলনায় এএমআইই ইঞ্জিনিয়ার কি ভাল করতে পারবে ?
উত্তরঃ এটা নির্ভর করবে পড়াশুনার উপর । এখানেও একই ব্যাপার, ১৬ টি কোর্স পড়ার পাশাপাশি বিসিএসের প্রস্তুতি নিলে, একজন এএমআইই ইঞ্জিনিয়ার পাশ করার পরপরই বিসিএস পরীক্ষা দিলেও বুয়েটের সদ্য পাশ করা প্রকৌশলীর তুলনায় তার ভাল করার সম্ভাবনা বেশি !
৫. বিসিএস পরীক্ষা যে প্যাটার্ন, তাতে বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ে এএমআইই ইঞ্জিনিয়ার ভাল করার সম্ভাবনা বেশি যদি হয়েই থাকে, তাহলে, কেন এএমআইই ইঞ্জিনিয়াররা বেশি সংখ্যক বিসিএস ক্যাডার হতে পারছে না ?
উত্তরঃ যথাযথ পরিকল্পনা এবং দিকনির্দেশনার অভাব ! এএমআইই পড়াশুনা শুরুর দিন থেকেই যদি একজন শিক্ষার্থীর বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন থাকে এবং সেই অনুযায়ী যথাযথ দিকনির্দেশনা এবং পরিকল্পনা সহকারে পড়াশুনা করে, তাহলে, বিসিএস ক্যাডার হিসেবে সে একজন সরকারী ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে বলে আশা করা যায় ।
৬. রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমী - এ ব্যাপারে কিভাবে সহযোগিতা করবে ?
উত্তরঃ গোল্ডেন ব্যাচ এবং স্পেশাল ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জন্য বিসিএস প্রস্তুতি ব্যাচ শুরু করতে যাচ্ছে রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমী ! শুধু এএমআইই পাশ করা নয়, এএমআইই পাশের পর ভাল চাকুরী এবং ভাল ক্যারিয়ার যেন গড়ে তুলতে পারে একজন এএমআইই প্রকৌশলী সেদিকে সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখছে রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমী এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছে ।
৭. তাহলে এখন আমার করনীয় কি ?
উত্তরঃ রয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমী-তে মেধাবী পরিবারের একজন সদস্য হোন, নিজেকে কম সময়ে প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি একটি সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ে তুলুন ।