মিশন এন্ড ভিশন - ২০২০
আগামী ৫ বছর পর ২০২০ সাল থেকে প্রকৌশলীদের জন্য বরাদ্দ বিসিএসের মাধ্যমে পূরণযোগ্য ৮০% পদই দখল করবে এএমআইই প্রকৌশলীরা !
--------------------------------------------------------------------------------------------
আপনার চারপাশের সকল এএমআইই শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদান করুন, এএমআইই লেখাপড়ার পাশাপাশি শুরু হোক বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি ! বেসরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে বুয়েটের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকে থাকুক, বিসিএস পরীক্ষায় একচ্ছত্র আধিপত্য দেখাবে এএমআইই প্রকৌশলীরা ! বাংলাদেশের অধিকাংশ এএমআইই শিক্ষার্থীরা যদি সিরিয়াস হয় বিসিএস পরীক্ষার ব্যাপারে, হয়ে ওঠে দৃঢ়চেতা, অধ্যবসায়ী, দৃঢ়-মনোবলের অধিকারী, তাহলে সম্ভব বিসিএস পরীক্ষায় প্রকৌশলীদের জন্য থাকা পদের ৮০% নিজেদের দখলে নেওয়া !
-------------------------------------------------------------------------------------------
প্রথম ধাপঃ প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া
----------------------------------------------------------------------------
৩৫ তম বিসিএস ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মানবন্টন-
----------------------------------------------------------------------------
১.বাংলা সাহিত্য=১৫
২.বাংলা ব্যাকরণ=২৫
৩.English literature=১০
৪.English grammar=৩০
৫.পাটিগণিত=৫
৬.বীজগণিত=১০
৭.জ্যামিতি=১০
৮.দৈনন্দিন বিজ্ঞান=১০
৯.কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি=১০
১০.ভূগোল=৫
১১.পরিবেশ ও দূর্যোগ
ব্যবস্থাপনা=৫
১২.নৈতিকতা,মূল্যবোধ ও সুশাসন=৫
১৩.গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক
দক্ষতা=১০
১৪.বাংলাদেশ বিষয়াবলী=১৫
১৫.মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ=১০
১৬.আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী=১৫
১৭.সাম্প্রতিক বিষয়াবলী=১০
মোট =২০০ নম্বর ।
সময় ২ঘণ্টা ।
এএমআইই শিক্ষার্থীরা, শুরু হোক, বিসিএস ক্যাডার দখলের সংগ্রাম আজ থেকেই ! আগামী ৫ বছর পর প্রকৌশলীদের জন্য বরাদ্দ থাকা ৮০% পদ দখল করবে এএমআইই প্রকৌশলীরা !
---------------------------------------------------------------------------------
দেশের সকল প্রান্তে এএমআইই শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে প্রস্তুতি নিন বিসিএস পরীক্ষার, শুরু হোক, বিসিএস জোয়ার ।
---------------------------------------------------------------------------------
বাংলাদেশে প্রতি টার্মে (বছরে ২ টা টার্ম) প্রায় ২১০০-২২০০ শিক্ষার্থী যে এএমআইই তে ভর্তি হচ্ছে, এর মধ্যে অর্ধেক শিক্ষার্থী যদি এএমআইই পড়াশুনার পাশাপাশি শুরু থেকেই বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে, তাহলে, আগামী ৫-৬ বছর পর, বিসিএস পরীক্ষায় প্রকৌশলী হিসেবে যেসকল বিসিএস ক্যাডারে যোগ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই থাকবে এএমআইই পাশ প্রকৌশলীদের হাতে ! কারণ সাড়া বাংলাদেশের ৫ টি সরকারী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর যতসংখ্যক শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়, তার থেকে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী এএমআইই-তে ভর্তি হয় (প্রায় ৪৪০০ জন) !
বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজন শক্ত মানসিকতা, কঠিন পরিশ্রম, আর অধ্যবসায় ।
বিসিএস পরীক্ষা এমন একটি পরীক্ষা, যেখানে বুয়েটের প্রকৌশলীর সাথে এএমআইই প্রকৌশলীর কোন পার্থক্য নেই ! অন্যান্য বেসরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে এএমআইই পাশ করা প্রকৌশলীদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতেই হয়, সেটা সত্যি । বেসরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে যেসকল সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকে এএমআইই ইঞ্জিনিয়াররা, সেটা সমাধান করার ক্ষমতা একমাত্র আইইবি-র হাতে, কিন্তু, বিসিএস পরীক্ষা বা বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (BPDB)- বা অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে চাকুরী প্রাপ্তি শিক্ষার্থীর নিজের হাতে @
তাই, শুরু হোক বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জোয়ার ! বাংলাদেশের সকল সদ্য ভর্তি হওয়া এএমআইই শিক্ষার্থীদের বিসিএস প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হোক এখন থেকেই, ৩-৪ বছর পর, এরাই হবে বিসিএস ক্যাডার, যোগ দিবে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে সরকারী চাকুরীতে, হয়ে যাবে সরকারী ইঞ্জিনিয়ার, প্রতিষ্ঠিত হবে সমাজে, আদর্শ ব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মানিত এবং সমাদৃত হবে সমাজে । স্বপ্ন হোক আকাশছোঁয়া ।
সকলের প্রতি শুভকামনা রইলো ।
---------------------------------------------------------------------------------------------
চাকুরী নিয়ে টেনশন আর নয় আর নয়, বিসিএস পরীক্ষায় এএমআইই প্রকৌশলীরা ভাল করবেই করবেই । |